New Update
Advertisment
বেলগাঁও নিয়ে দীর্ঘদিনের সংঘাত মহারাষ্ট্র-কর্ণাটকের মধ্যে। শিবসেনা স্থাপনের সময় থেকে বেলগাঁওকে মহারাষ্ট্রে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য লড়াই করে এসেছিলেন বাল ঠাকরে। পরবর্তীকালে সেই আন্দোলন আরও বড় আকার নেয়। কিন্তু মারাঠি অধ্যুষিত বেলগাঁওয়ের দখল ছাড়তে নারাজ কর্ণাটক। এবার এই ইস্যুতে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। শনিবার শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউতের বিস্ফোরক অভিযোগ, বেলগাঁওয়ে মারাঠিদের উপর অত্যাচার হচ্ছে। দ্রুত সর্বদলীয় সফরের দাবি জানিয়েছেন শিবসেনা মুখপাত্র।
তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, "গত আট দিন ধরে বেলগাঁওয়ে শিবসেনা নেতৃত্ব এবং দলীয় কার্যালয়ে হামলা হচ্ছে।" কন্নড়দের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি। তাঁর দাবি, "বেলগাঁও বরাবরই মারাঠিদের। মহারাষ্ট্র এই দাবি থেকে সরে আসবে না। মারাঠিদের নিরাপত্তার দায়িত্ব কর্ণাটক সরকারের। এই দায় এড়াতে পারে না ইয়েদুরাপ্পা সরকার।" তাঁর হুঁশিয়ারি, "পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে গেলে শিবসেনা বা মহারাষ্ট্র সরকারকে দায়ী করা যাবে না। কারণ, রাজনৈতিক সংঘাত এড়ানোর জন্য কিছু করছে না কর্ণাটক সরকার।"
একইসঙ্গে সঞ্জয় রাউত বেলগাঁও ইস্যুতে কেন্দ্রকে দোষারোপ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, "পশ্চিমবঙ্গে ভোটের কারণে সেখানে হিংসা-হানাহানি দেখতে পায় কেন্দ্র। কিন্তু বেলগাঁও ইস্যুতে কেন্দ্র চোখ বন্ধ করে রেখেছে। মহারাষ্ট্র সরকার এই ইস্যুতে কড়া অবস্থান নেবে। সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল দ্রুত বেলগাঁওয়ে পরিদর্শনে যাবে। মারাঠিদের পাশে রয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। তাঁদের সুরক্ষার জন্য কেন্দ্র কিছু না করলেও উদ্ধব ঠাকরে সরকার অবহেলা করবে না।"
শিবসেনা নেতা কন্নড় সংগঠন কর্ণাটক রক্ষণা ভেদিকে-কে কাঠগড়ায় তুলেছেন হামলার ঘটনায়। তাঁর দাবি, এই সংগঠন বারবার মারাঠি নেতাদের উপর হামলা করছে। আর এদের নেপথ্যে রয়েছে বিজেপি। বিজেপির কোনও নেতা এই নিয়ে মুখ খুলছেন না। কিন্তু আমরা দুই রাজ্যের মধ্যে সংঘাত চাই না। কেন্দ্র অবিলম্বে পদক্ষেপ করুক। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, সাম্প্রতিক যৌন কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত কর্ণাটকের মন্ত্রীর উপর থেকে নজর ঘোরাতেই এই সংঘাতের আবহ তৈরি করা হচ্ছে।