এনডিএ প্রার্থী জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে তিনি বিরোধী প্রার্থী। কিন্তু, মার্গারেট আলভাকে সমর্থনের ব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেস সায় দেয়নি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীরা যেভাবে কিছুটা হলেও এককাট্টা হয়েছিলেন, সেটা আলভার সময় উধাও। কারণ, অন্যতম প্রধান বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট না-দেওয়ার সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত যে তাঁর পক্ষে মোটেও সুখকর নয়, তা বিলক্ষণ জানেন মার্গারেট আলভা।
অশীতিপর নেত্রী তবুও আশাবাদী বিরোধী পরিবারের এই বিবাদ মিটে যাবে। তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেত্রী মত বদলাবেন। আর, সেজন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে যথেষ্ট সময়ও আছে। আলভার বক্তব্য এই ব্যাপারে পরিষ্কার। এই উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তিনি বিরোধীদের ঐক্য চাইছেন, ২০২৪-এর কথা ভেবে। লোকসভা নির্বাচনের আর দুই বছরও নেই। তার আগে বিরোধী ঐক্য ঝালিয়ে নেওয়ার এটাই সময় বলেই মার্গারেট আলভা জানিয়েছেন।
৬ আগস্ট উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন। সেখানে বিজেপি যেমন একদলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার দিকে ঝুঁকছে, তা আটকাতে বদ্ধপরিকর কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস নেতৃত্ব বারবার গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান রক্ষা এবং সংবিধান বাঁচানোর স্বার্থে একজোট হওয়ার স্লোগান তুলেছেন। সেই লক্ষ্যেই বিরোধী ঐক্য মজবুত করতে চান কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। আর, এক্ষেত্রে তিনি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বরাবরের মতই সখ্যতা চাইছেন। দলনেত্রীর মনোভাব ভালো করেই জানেন মার্গারেট আলভা।
আরও পড়ুন- বিশ্বব্যাপী জরুরি পরিস্থিতি তৈরি করেছে মাঙ্কিপক্স, ঘোষণা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
এই প্রসঙ্গে শনিবার তিনি বলেন, 'আজকের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ট্র্যাজেডি হল যে জনগণের মতামত বিজয়ী হয় না। পেশী ও অর্থ শক্তি এবং হুমকিই নির্বাচিত কাঠামোর গঠন পরিবর্তন করে।' সংসদে বিরোধীরা লাগাতার বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বহুবারের সাংসদ, প্রাক্তন রাজ্যপাল আলভা বলেন, 'সংসদের কার্যকলাপ এভাবে বারবার বাধা পাচ্ছে কারণ, বিরোধীদের দৃষ্টিভঙ্গী সরকার বুঝতে চাইছে না। তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করতে চাইছে না। কিন্তু, সরকারি স্লোগান দিয়ে গণতন্ত্র চলতে পারে না।' আর, সেই বিরোধী রাজনীতিকে পোক্ত করতেই আলভা চান ভোটদানে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুক তৃণমূল কংগ্রেস।
Read full story in English