আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ-র প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকেই সমর্থন করবেন বহুজন সমাজবাদী পার্টি। শনিবার এই ঘোষণা করেছেন দলের সুপ্রিমো মায়াবতী। দলের এই পদক্ষেপের জন্য বিরোধী শিবিরকেই দুষেছেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে, শরদ পাওয়ারের তত্বাবধানে গত ১৫ জুন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী খুঁজতে বিরোধী বৈঠকে বিএসপির আমন্ত্রণ না পাওয়া নিয়েও সরব মায়াবতী।
এ দিন মায়াবতী বলেছেন, 'বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেছে বেছে কয়েকটি দলকে বৈঠকে ডেকেছিলেন। শরদ পওয়ারও আমাদের আলোচনায় ডাকেননি। আসলে বিরোধীরা শুধু সহমতের ভিত্তিতে প্রার্থী দেওয়ার নাটক করেছে। প্রামাণ হল যে এরা এখনও জাতপাতের মানসিকতাতেই আটকে রয়েছেন। ফলে বিএসপি তাদের কাছে অচ্ছুত।'
বিজেপি বিরোধী বলে বিএসপি নিজেকে তুলে ধরে। তাহলে কেন এনডিএ-র প্রার্থীকে সমর্থন? মায়াবতীর যুক্তি, 'দ্রৌপদী মুর্মু একজন আদিবাসী, ফলে বিএসপির তাঁকে সমর্থন করাই স্বাভাবিক।' মায়াবতীর সাফাই, 'বিএসপি এনডি বা ইউপিএ-র প্রার্থীকে নয়, একজন যোগ্য আদিবাসী মহিলাকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সমর্থন করছে।'
লোকসভায় বিএসপির ১০ জন সাংসদ রয়েছে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটের তারিখে রাজ্যসভায় বিএসপির সাংসদ সংখ্যা হবে ১। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় বিএসপির ১ জন নির্বাচিত বিধায়ক রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত লোকসভা ভোটের পর থেকেই রাজনীতির ময়দানে সেভাবে সক্রিয় হননি মায়াবতী। ২০২২ সালের উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনেও প্রচারে ঝাঁপাননি তিনি। ভোটের বিএসপির ফলও হয়েছে শোচনীয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় মায়াবতীর পরিবারের বেশকয়েকজন ও বিএসপি নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তারপর থেকেই কিছুটা অন্তরালে এই দলিত নেত্রী। দলিত ভোট ব্যাকেও থাবা বসিয়েছে বিজেপি। বিরোধী দলগুলির আশঙ্কা ছিল যে মায়াবতী সিবিআই জুজুর ভয়ে তাদের বৈঠকে যোগ দেবেন না। তাঁকে তাই আমন্ত্রণও জানানো হয়নি।