পঞ্জাবে আপ এখন বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছে। আর, ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে এই দুই দলই পঞ্চনদের তীরে মসনদের দাবিদার হয়ে উঠতে পারে। অন্তত, এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না বিজেপি। চলতি নির্বাচনে সুপার হেভিওয়েট প্রচারকের ভূমিকায় নেমে তাই কংগ্রেসের সঙ্গে আপকেও আক্রমণ করলেন নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী।
বিরোধীদের আক্রমণ শানাতে গিয়ে পঞ্জাবের ভোটপ্রচারে তিনি আপের তুলনা টানলেন কংগ্রেসের সঙ্গে। হিন্দুত্ব আর জাতীয়তাবাদের দলীয় পুঁজিতে ভরসা রেখে বিজেপির এই সুপার হেভিওয়েট প্রচারকের দাবি, আপ আসলে কংগ্রেসের জেরক্স কপি। কারণ, দুই দলই রামমন্দির আর সেনাবাহিনীর বীরত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
'উড়তা পঞ্জাব'-এর মতোই মাদক আর মদ্যপানের রমরমা এখন পঞ্জাবে। ভারতীয় সেনায় শিখ রেজিমেন্টের বীরগাথা শতদ্রু-বিপাশার জলে বয়ে নিয়ে চলা পঞ্জাবের যুবশ্রেণির অনেকেই বর্তমানে মাদকে ঝিমন্ত। তা আটকাতে না-পারার অভিযোগে কাঠগড়ায় উঠেছে শিরোমণি অকালি দল।
গত বিধানসভা নির্বাচনে পঞ্জাবকে মাদক আটকানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল কংগ্রেসের ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের সরকার। তিনি সরতে তখতে বসেছেন কংগ্রেসেরই চান্নি। কিন্তু, মাদকমুক্ত পঞ্জাবের প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থতার ভূত মুখ সরলেও কংগ্রেসকে ছাড়েনি।
আজ যখন ফের পঞ্জাব তখতের দাবিদার বাছতে বসেছে, তখন স্বভাবতই বারবার উঠে আসছে মাদকের প্রসঙ্গ। বুধবার যা কোনওমতেই হাতছাড়া করতে রাজি ছিলেন না বিজেপির সুপার হেভিওয়েট প্রচারকও।
কংগ্রেস-আপকে পাশাপাশি আসনে বসিয়ে মোদী বললেন, 'যখন সেনা বীরত্ব দেখায়, এই দলগুলো পাকিস্তানের ভাষায় কথা বলে। যখন একদল পঞ্জাবের যুবকদের মাদকের দিকে ঠেলে দিয়েছে। অন্যদল তখন দিল্লির যুবকদের ঠেলে দিয়েছে মদের দিকে। একদল পঞ্জাবকে লুঠছে। অন্যদল তখন দিল্লিতে একের পর এক কেলেঙ্কারিতে জড়াচ্ছে।'
আরও পড়ুন- গুজরাতের স্কুলে ঢুকেই পড়ল নাথুরাম গডসে
মোদীর ভাষায়, 'ইয়ে এক হি থালি কে চাটটে বাটতে হ্যায়।' শুধু গুরমুখিই না। শিখমন জয় করতে মোদীর ভাষণে উঠে এল পঞ্জাবের জনপ্রিয় 'নুরা কুস্তি'র (আগে থেকেই ফলাফল ঠিক করে নেওয়া কুস্তি) প্রসঙ্গ। তিনি বললেন, 'এখন এই দুই দল ডব্লিউডব্লিউইএ-র মতো পঞ্জাবে নুরা কুস্তি করছে।'
আপ আর কংগ্রেসের মধ্যে যে কোনও পার্থক্য নেই, পঞ্জাববাসীর মনে তা গেঁথে দিতে বুধবার মোদী টেনে আনলেন দিল্লির প্রসঙ্গ। বললেন, দিল্লিতে যখন আপ ক্ষমতায় বসেছিল, তখন এই কংগ্রেসই তাদের সমর্থন করেছিল। আর, তার দৌলতেই দিল্লির কুর্সিতে বসেছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এই দুই দলের থেকে বাঁচতে যে বিজেপিই একমাত্র বিকল্প, তা যেন পাঠানকোটবাসীকে আর বুধবারের সভায় বলার অপেক্ষা রইল না সন্ত রবিদাসের ছবির সামনে দাঁড়িয়ে ভোটপ্রচার চালানো বিজেপির সুপার হেভিওয়েট নেতার।
Read story in English