পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে চার রাজ্যেই ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে গেরুয়া শিবির। প্রচারেই তিনি বলেছিলেন, ১০ মার্চ অকাল হোলি খেলা হবে। বৃহস্পতিবার জয়ের পর সেই অকাল হোলির আনন্দে শামিল হতে দিল্লিতে দলের সদর দফতরে হাজির হন নরেন্দ্র মোদী। সেখানে উচ্ছ্বাসের মধ্যেই দলের নেতা-কর্মীরা ফুলের মালায় বরণ করে নিলেন জয়ের কান্ডারিকে।
ইউপি, গোয়া, মণিপুরে এগজিট পোল ভুল প্রমাণিত হয়েছে। ক্ষমতায় থাকলেও ফের ক্ষমতায় ফিরেছেন বিজেপি। উত্তরপ্রদেশে আবার ইতিহাস তৈরি করেছে বিজেপি। টানা দ্বিতীয়বার দল ক্ষমতায় এল উত্তরপ্রদেশে। পাহাড়ি রাজ্য মণিপুর, সমুদ্রের পার্শ্ববর্তী রাজ্য গোয়া আর গঙ্গা তীরবর্তী উত্তরপ্রদেশ- কার্যত গোটা দেশই বিজেপির পক্ষে বৃহস্পতিবার সায় দিল। বিজেপি নেতা-কর্মীদের একথা মনে করিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি মোদী বুঝিয়ে দিলেন, এই বিধানসভা ছিল লোকসভা নির্বাচনের সেমিফাইনাল। যেখানে চারদিক থেকে জনগণ বিজেপিকে আশীর্বাদ করেছে।
সাধারণ মানুষ যেভাবে বিজেপির পক্ষে রায় দিয়েছে, তার কারণ হিসেবে উন্নয়নকেই কৃতিত্ব দিলেন নরেন্দ্র মোদী। দাবি করলেন, কেন্দ্রীয় উন্নয়নের সুফল পেয়েছেন দেশবাসী। সাধারণ মানুষও এখন ডিজিটাল দুনিয়ার বাসিন্দা। সহজেই সরকারি কাজ করতে পারছেন দেশবাসী। এজন্য সরকারি দফতরের দুয়ারে দুয়ারে তাঁদের ঘুরতে হচ্ছে না। তিনি নিজে বেশ কয়েকবার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েই দেশের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন। বক্তৃতা দিতে গিয়ে তেমনটাই দাবি করলেন নরেন্দ্র মোদী।
আরও পড়ুন- গেরুয়া ঝড়ে বিবর্ণ জাতপাতের রাজনীতি, উন্নয়নে সিলমোহর ভোটারদের
দলের নেতা থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী, বৃহস্পতিবার নির্বাচনী ফলাফল, কার্যত নরেন্দ্র মোদীর উভয় ভূমিকাকেই মিলিয়ে মিশিয়ে একাকার করে দিল। নরেন্দ্র মোদী জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, সাধারণ মানুষের কাছে সরকারি সুবিধা পৌঁছে দেওয়া ঠিক কতটা কষ্টকর। সেই অভিজ্ঞতা থেকে তিনি যে প্রকল্প হাতে নিয়েছেন, তা এখন দেশের সব গরিব মানুষের কাছে পৌঁছতে শুরু করেছে। তার ফলেই দেশবাসীর বিশ্বাস জন্মেছে বিজেপির প্রতি। বিজেপির প্রতি ভরসা জন্মেছে।