কেন্দ্রকে তুলোধনা করলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। পাশাপাশি কোভিড টিকাকরণে সরকারের নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সংসীয় দলের বৈঠকে বুধবার সনিয়া বলেছেন, 'আমরা প্রতিশ্রুতি মত কৃষকদের পাশে দাঁড়াব। নূন্যতম সহায়ক মূল্যের আইনি স্বীকৃতি, চাষের খরচ মেটানোর লাভজনক দাম এবং আন্দোলনের ফলে মৃত কৃষকদের পরিবারগুলিকে সহায়তা প্রদানের দাবি তুলেছেন কৃষক সংগঠনগুলি। আমরা তাঁদের দাবিকে সমর্থন করছি ও সরকারের কাছে ওঁদের দাবিপূরণের আর্জি জানাচ্ছি।'
নিত্যপ্রয়োজনীয় সহ প্রায় সবকিছুর দাম বেড়েছে। নাজেহাল আম আদমি। এ প্রশ্হেগ এ দিন সনিয়া গান্ধী বলেন, 'আমি বুঝতে পারছি না কেন মূল্যবৃদ্ধির মতো ইস্যু নিরসনে মোদী সরকার এতটা অসংবেদনশীল ও তা স্বীকার করছে না। মূল্য বৃদ্ধির জেরে মানুষের দুর্ভোগ ক্রমশ বাড়ছে।'
জ্বালানির দাম কমাতে করের কিছুটা প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্র। মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তকে 'অপর্যাপ্ত' বলে মনে করেন সনিয়া গান্ধী। তাঁর কথায়, 'কেন্দ্র জ্বালানীর উপর কর কমিয়ে তার দায়িত্ব সেরেছে। চাপ বেড়েছে রাজ্য সরকারগুলির উপর। যা কার্যত পিছন থেকে ছুরি মারার মতো। যখন অনের কিছু করার তখনই কেন্দ্র বিভিন্ন প্রকল্পকে বড় করে দেখিয়ে বাহবা পাওয়ার চেষ্টা করছে।'
কংগ্রেস সভানেত্রীর দাবি, 'ভোজ্য তেল, ডাল ও সবজির দাম প্রতিটি পরিবারের মাসিক বরাদ্দে থাবা বসিয়েছে। বেড়েছে সিমেন্ট, ইস্পাত এবং অন্যান্য মৌলিক শিল্প পণ্যের সামগ্রীর দামও। যা অর্থনীতির বৃদ্ধির ক্ষেত্রে শুভ ইঙ্গিত নয়।'
ব্যাঙ্ক, বিমা, বিমানবন্দর সহ জাতীয় নানা প্রতিষ্ঠান বেসরকারিকরণ করছে মোদী সরকার। অভিযোগ কংগ্রেসের। এপ্রসঙ্গে সনিয়া বলেছেন, 'নোটবন্দি করে প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় অর্থনীতিতে প্রথম ধ্বংসের পথে ঠেলে দেয়। দেশকেবিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন তিনি কিন্তু মুখে বলছেন নগদীকরণের কথা।' দেশে বেকারত্ব বৃদ্ধির জন্যও মোদী সরকারকে দায়ী করেছেন সনিয়া গান্ধী।
তাঁর অভিযোগ, 'দেশের কতিপয় ব্যবসায়ীর আয় বৃদ্ধি বা শেয়ার বাজারের সূচক দেখে অর্থনৈতিক উন্নয়নের দাবি চরম ভুল হবে। শ্রমিককে দাবিয়ে যদি অর্থনীতি বৃদ্ধি হয় তবে সমাজে তার কী মূল্য রয়েছে?'
ইন্দো-চিন সীমান্ত বিরোধ এখনও মেটেনি। বুধবারই ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান সতর্ক করে বলেছেন, 'ভারতের কৌশলগত লক্ষ্যে অন্যতন বিপদ চিন।' এই পরিস্থিতিতে সীমান্ত ইস্যুতেই এ দিন মোদী সরকারকে এক হাত নিয়েছেন সনিয়া গান্ধী। তিনি বলেছেন, 'সীমান্তে ভারত নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় সেগুলি নিয়ে আলোচনা করার কোনও সুযোগ সংসদে হল না। এই ধরণের আলোচনা দেশের সমস্যা সমাধানে দেশের ঐক্যের ছবিও তুলে ধরতে পারত।' তাঁর অভিযোগ, 'সরকার কঠিন প্রশ্নের জবাব দিতে রাজি নয়। কিন্তু বিরধীরা তো সরকারকে প্রশ্ন করবে, ব্যাখ্যা চাইবে। সীমান্ত নিয়ে আমি ফের একবার সংসদে বিস্তারিত আলোচনার আর্জি জানাচ্ছি।'
Read in English