প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শনিবার বুন্দেলখন্ড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেছেন এবং বলেছেন যে “কিছু লোক বিনামূল্যে মিষ্টি বিতরণ করে ভোট সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে, যা ভারতের উন্নয়নের পক্ষে বিপজ্জনক।” তাঁর দাবি, “ডাবল-ইঞ্জিন সরকার উন্নয়ের জন্য এই ধরণের শর্টকাটটি নেয় না।”
নরেন্দ্র মোদী এ দিন বলেছেন, “আজ আমাদের দেশে বিনামূল্যে রিউড়ি (মিষ্টি) বিতরণ করে ভোট সংগ্রহের চেষ্টা করা হচ্ছে। এই রেউড়ি সংস্কৃতি দেশের উন্নয়নের জন্য খুবই বিপজ্জনক। দেশের জনগণ বিশেষ করে যুব সমাজকে এই রেউড়ি সংস্কৃতি থেকে সতর্ক থাকতে হবে। রেউরি সংস্কৃতির লোকেরা আপনার জন্য নতুন এক্সপ্রেসওয়ে, নতুন বিমানবন্দর বা প্রতিরক্ষা করিডোর তৈরি করবে না। তাঁরা মনে করেন যে মানুষের মধ্যে বিনামূল্যে রিউড়ি বিতরণ করেই ভোট আদায়ে সম্ভব। একযোগে আমাদের ওইসব চিন্তাকে পরাস্ত করতে হবে। দেশের রাজনীতি থেকে রেউরি সংস্কৃতি দূর করতে হবে। হদলে বিনামূল্যের বদলে আমরা রাস্তা এবং নতুন রেল রুট নির্মাণ করে মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করছি। দরিদ্রদের জন্য, আমরা নতুন বাড়ি তৈরি করছি, সেচ প্রকল্পগুলি সম্পূর্ণ করছি, বাঁধ তৈরি করছি, বিদ্যুৎ ইউনিট স্থাপন করছি যাতে দরিদ্র ও কৃষকদের জীবনের মান উন্নত হয় এবং আমাদের যুবকদের ভবিষ্যত অন্ধকারে ডুবে না যায়।”
এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্যসব বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
আরও পড়ুন- বদলাতে পারে অঙ্ক! রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কার দিকে ঝুঁকে আপ? খোলসা শেষ মুহূর্তে
২৯৬ কিমি দীর্ঘ বুন্দেলখণ্ড এক্সপ্রেসওয়েটি অপেক্ষাকৃত অনুন্নত বুন্দেলখণ্ড অঞ্চলের চিত্রকূটকে ইটাওয়ার কাছে লখনউ-আগ্রা এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। এটি রাজ্যের চতুর্থ এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প। নয়া এক্সপ্রেসওয়েটি প্রস্তাবিত সময়ের চারমাস আগে শেষ হয়েছে। বুন্দেলখণ্ড এক্সপ্রেসওয়েটি মাত্র ২৮ মাসে তৈরি হয়েছে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী মোদী এই প্রকল্পের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন।
শনিবার, মোদী বলেছেন যে, “ডাবল ইঞ্জিন সরকারের অধীনে ইউপি যেভাবে বিকাশ করছে তা বিস্ময়কর। “আমি একটা কথা মনে রাখি এবং বারবার বলি যে, সার্যু খাল প্রকল্পটি শেষ করতে৪০ বছর লেগেছিল। গোরক্ষপুর সার কারখানাটি ৩০ বছর ধরে বন্ধ ছিল। অর্জুন বাঁধ প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করতে ১২ বছর লেগেছিল। আমেঠিতে রাইফেলের গুদাম শুধু একটা বোর্ড। বর্তমান সরকার উত্তরপ্রদেশের পরিকাঠামোর কাজকে এত গুরুত্ব সহকারে দেখছে যে তা উন্নত রাজ্যগুলিকেও পিছনে ফেলে দিচ্ছে। সারাদেশে এ রাজ্যের চিত্র পাল্টে যাচ্ছে। আপনারা সকলে গর্বিত তো?।”
মোদীর দাবি, কেবল হাইওয়ে এবং এয়ারওয়েজ নয়, শিক্ষা, উৎপাদন, কৃষিকাজ ইত্যাদি ক্ষেত্রেও উত্তরপ্রদেশ এগোচ্ছে।