জ্বালানি তেলের দাম আকাশছোঁয়া। দাম বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের। নাভিশ্বাস উঠছে আম আদমির। মোদী সরকারকে নিশানা করছেন বিরোধী দলগুলি। ক্রমাগত বিরোধীদের এই আক্রমণের জবাবে বুধবার মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী। পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধির দায়ে প্শিমবঙ্গ সহ বিরোধী শাসিত সরকারের উপরই ঠেললেন নমো।
প্রধানমন্ত্রীর সাফ দাবি, গত নভেম্বরে পেট্রোপণ্যের উপর থেকে কেন্দ্র আবগারি শুল্ক কমিয়েছে। তাসত্ত্বেও পেট্রল এবং ডিজেলের উপর ভ্যাট কমায়নি বেশ কয়েকটি রাজ্য। তারা জনগণের প্রতি 'অবিচার' করেছে। দেশের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার প্রদানমন্ত্রী দেশের একাধিক মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। কোভিড ছাড়াও দেশ বিশ্ব পরিস্থিতির জেরে আরও বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি এর মধ্যে অন্যতম। যা নিয়েই সতর্ক করতে গিয়ে এ দিন পেট্রোল-ডিজেরে দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে কার্যত বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিকেই নিশানা করেন নরেন্দ্র মোদী।
বিশ্ব সংকটের জেরে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির মধ্যে সহযোগিতামূলক ফেডারেলিজমের চেতনা এবং সমন্বয়কে আরও উন্নত করা অপরিহার্য বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।
এরপরই তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে মুখ খোলেন নমো। বলেন, 'কিছু রাজ্য কর কমিয়েছে কিন্তু কিছু রাজ্য জনগণকে সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছে। এই কারণেই বেশ কয়েকটি রাজ্যে পেট্রল এবং ডিজেলের দাম চড়া রয়েছে। এইসব রাজ্যগুলির জনগণের প্রতি শুধু অবিচারই করছে না, উল্টে প্রতিবেশী রাজ্যগুলির উপরও প্রভাব বিস্তার করছে।'
নাম করেই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, 'মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরল, ঝাড়খণ্ড এবং তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যগুলি কোনও কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের কথা শোনেনি। ফলে এইসব রাজ্যের বাসিন্দাদের উপর বোঝা চাপছে। আমি অনুরোধ করছি যে, নভেম্বরে যা করা উচিত ছিল, মতো কর কমিয়ে জনগনকে সুবিধা দিন।'
Read in English