অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এবং অন্যান্য ডিজিটাল কনটেন্ট প্রোভাইডার সংস্থাকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার। এবার থেকে যে কোনও রকম ডিজিটাল কনটেন্ট প্রোভাইডার সংস্থাগুলো থাকবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের অধীনে। ৯ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইম ভিডিও থেকে যাবতীয় অনলাইন সংস্থাগুলো এবার থেকে আর নিজেদের মতো স্বাধীনচেতা হিসেবে কাজ করতে পারবে না। এই নয়া নির্দেশিকা নিউজ পোর্টালগুলির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। অতীতে এক মামলার প্রেক্ষিতে দেশের শীর্ষ আদালতকে কেন্দ্র জানিয়েছিল যে, টিভি কিংবা বৈদ্যুতিন মাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণে আনার আগে ডিজিটাল মিডিয়ার উপর রাশ টানা উচিত।
প্রসঙ্গত, দেশের প্রিন্ট মিডিয়ার উপর নজর রাখে প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া। নিউজ চ্যানেলগুলি নিউজ ব্রডকাস্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের অধীনে, অ্যাডভার্টাইজিং স্ট্যান্ডার্ড কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার অধীনস্থ বিজ্ঞাপন সংস্থাগুলি। সিনেমার ক্ষেত্রে রয়েছে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন। এবার ডিজিটাল প্রোভাইডার সংস্থাগুলোর উপর রাশ টানতে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন জমা পড়েছিল। অক্টোবর মাসে দেশের শীর্ষ আদালত কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই প্রসঙ্গে মতামত জানতে চায়। যার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক এবং ব্রডকাস্টিং অ্যান্ড ইন্টারনেট অ্যান্ড মোবাইল অ্যাসোসিয়েশনকে নোটিশ পাঠিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এছাড়া অন্য একটি মামলায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছিল যে, ডিজিটাল মিডিয়াগুলির উপর রাশ টানা দরকার। কারণ, অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি ফিল্মমেকার এবং নানা শিল্পীদের ভীষণ সুবিধে করে দিয়েছে। সেন্সর বোর্ড নিয়ে তাদের মাথা ঘামাতে হচ্ছে না। আর সেসবের প্রেক্ষিতেই এবার নিউজ পোর্টাল-সহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলিকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের অধীনে আনা হল।