বিহার রাজনীতিতে নয়া মোড়। বিজেপি-জেডি(ইউ) দূরত্ব আরও বাড়ার ইঙ্গিত স্পষ্ট। যাবতীয় জল্পনার পারদ আরও চড়িয়ে দিয়েছেন খোদ জেডি(ইউ) সুপ্রিমো নীতীশ কুমার নিজেই। সোমবার সন্ধেয় দলের সব বিধায়ককে পাটনায় জরুরি বৈঠকে ডেকেছেন নীতীশ কুমার। তবে কি বিহারে জেডি(ইউ)-বিজেপি জোট ভাঙছে? বিষয়টি স্পষ্ট না হলেও ইঙ্গিতটা কিন্তু রয়েই গেল। অন্যদিকে, বিহারের প্রধান বিরোধী দল আরজেডি-ও মঙ্গলবার বিধায়কদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছে।
এবার কি বিহারেও পালাবদল? গত কয়েক মাস ধরেই নানা ইস্যুতে জোটসঙ্গী বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে নীতীশের জেডি(ইউ)-এর। গতকাল দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে নীতি আয়োগের বৈঠকও এড়িয়েছেন নীতীশ। মোদীর সঙ্গে বৈঠক এড়ানোর পরের দিনই এবার দলের বিধায়কদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছেন নীতীশ। সেই বৈঠকের দিকেই এবার তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
এর আগে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছিলেন জেডি(ইউ) জাতীয় সভাপতি রাজীব রঞ্জন সিং ওরফে লালন সিং। তাঁর অভিযোগ ছিল, ''সাম্প্রতিক সময়ে নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে দুটি ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। একটি ছিল ২০২০-এর চিরাগ মডেল। সেই ষড়যন্ত্রের জেরেই বিধানসভায় আমাদের আসন সংখ্যা ৪৩-এ নেমে গিয়েছিল।''
আরও পড়ুন- অযোধ্যায় অবৈধভাবে জমির হাতবদল, কাঠগড়ায় খোদ মেয়র-বিধায়কও
একইসঙ্গে দলের নেতা আরসিপি সিংয়ের নীতীশ কুমারের সম্মতি ছাড়াই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়ার বিষয়টিও সামনে এনেছেন লালন সিং। নীতীশ কুমারের একের পর এক তিরস্কারের পর শনিবারই জেডি(ইউ) ছেড়েছেন আরসিপি সিং।
উল্লেখ্য, সপ্তাহখানেক আগেই পাটনায় এসেছিলেন বিজেপি শীর্ষ নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দলের বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি জানান, ২০২৪-এর লোকসভা ও ২০২৫-এর বিধানসভা নির্বাচনে একসঙ্গেই লড়বে বিজেপি-জেডি(ইউ)। শাহের সেই বক্তব্যের এক সপ্তাহের মাথায় জেডি(ইউ) নেতা লালন সিংয়ের এই বিবৃতি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।