চতুর্থবারের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন নীতীশ কুমার। শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। তবে, অনুষ্ঠান বয়কট করে মহাজোটের প্রধান দল তথা বিহারের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আরজেডি।
তেজস্বীর দলের তরফে টুইটারে বলা হয়, 'পরিবর্তনের পক্ষে এনডিএ-র বিপক্ষে জনাদেশ ছিল। মানুষের রায় ছিল সরকার বদলের। যে কারচুপি এনডিএ করেছে তাতে রাজ্যবাসী হতাশ। তাই নীতীশ কুমারের শপথ অনুষ্ঠান বয়কট করছে আরজেডি।'
সহকারী হিসাবে আর সুশীল মোদী নন, এবার বিহার পেতে চলেছে দু'জন উপমুখ্যমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, বিজেপির তারাকিশোর প্রসাদ ও রেণু দেবী উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন। আট মন্ত্রীর মধ্যে চার জন করে জেডিউই ও বিজেপির।
নীতীশকে সামনে রেখেই এবার বিহারে প্রচার চালিয়েছি এনডিএ। তবে, ভোটের ফলে ৪৩ আসন পেয়ে তৃতীয় শক্তিতে পর্যবসিত হয়েছে জেডিইউ। ফলে নীতীশই কী ফের মুখ্যমন্ত্রী হবেন? তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। তবে জোট প্রতিশ্রুতি বজায় রেখেছে বিজেপি। এনডিএ-র বৈঠকে রবিবারই নীতীশ কুমারকে বিহারের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচন করা হয়। জেডিইউ ও বিজেপির তরফে চার জন করে আট মন্ত্রী শপথ নিলেও রাজ্য়ে এনডিএ-র বাকি দুই শরিক দল হ্যাম ও ভিআইপি দল থেকে পরে মন্ত্রী করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
সুশীল মোদী এবার আর উপমুখ্যমন্ত্রী হচ্ছে না। রবিবারের পরই নিজের টুইটার হ্য়ান্ডলার থেকে 'ডেপুটি সিএম' মুছে ফেলেছেন। পরিবর্তে সেখানে লিখেছেন, 'একজন দলীয় কর্মী হিসাবে আমার অবস্থান কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।' বিজেপির তরফে সরকারি কোনও ঘোষণা না থাকলেও কান পাতলে গুঞ্জণ যে বিহার থেকে রাজ্যসভায় পাঠানো হতে পারে সুশীল মোদীকে। রামবিলাস পাসোয়ানের মৃত্যুতে রাজ্য থেকে একটি আসন ফাঁকা হয়েছে। সেখানেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন মোদী। তা সম্ভব না হলে রাজ্যপাল করেও পাঠানো হতে পারে তাঁকে।
২৪৩ বিধানসভা আসনের মধ্যে এবার এনডিএ জিতেছে ১২৫টিতে। এর মধ্যে ৪৩টি ডেজিইউ ও ৭৪টি আসন পেয়েছে বিজেপি। বাকি আটটি আসন জিতেছে হ্যাম ও ভিআইপি দল। আরজেডি পেয়েছে ৭৫টি আসন। এবার ভোটে আসনের নিরিখে লালুর দলই এককভাবে বৃহত্তর।
ন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন