নীতীশের জোটসঙ্গী বদলের নেপথ্যে নাকি রয়েছেন ভোটকূশলী প্রশান্ত কিশোর। শুরু হয়েছিল চর্চা? যা নিয়ে মুখ খুলেছেন স্বয়ং প্রশান্ত কিশোর। সিএনএন নিউজ ১৮-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভোটকূশলী বলেছেন, 'বিজেপির সঙ্গে নীতীশ কুমার স্বচ্ছন্দ্য ছিলেন না। ফলে অন্য দলের সঙ্গে জোট গড়েছেন।'
দুর্নীতি সহ বেশ কয়েকটি ইস্যুতে জেডিইউ এবং আরজেডির অবস্থান সম্পূর্ণ ভিন্ন মেরুতে। এবার পরস্পর বিরোধী দুই দলই ফের জোট গড়ে সরকার চালাবে। কীভাবে পরস্পর বিরোধী ইস্যুগুলিকে মোকাবিলা করে বিহারের নয়া সরকার চলে সেদিকে সবার নজর থাকবে বলে মনে করেন প্রসান্ত কিশোর।
নীতীশের ভোলবদলে জাতীয়স্তরের রাজনীতিতে প্রবাব পড়তে পারে বলে মনে করছে বিরোধী দলগুলি। বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে পাটনাই দিল্লিকে পথ দেখাতে পারে বলে ধারণা। নীতীশকে বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী হিসাবেও তুলে ধরা হতে পারে বলে জোর জল্পনা। জেডিইউ-য়ের জোটসঙ্গী বদলে আদৌ কতটা প্রভাব পড়বে জাতীয় রাজনীতিতে? প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, 'বিহার একটি বড় রাজ্য, তবে এই ঘটনাটি জাতীয় স্তরে রাজনীতিতে অবিলম্বে প্রভাব ফেলবে এমন সম্ভাবনা কম।'
আরও পড়ুন- বিহারে ফের ‘চাচা-ভাতিজা’র সরকার! রেকর্ড ৮ বার মুখ্যমন্ত্রী হলেন নীতীশ, দ্বিতীয়বার ডেপুটি তেজস্বী
নীতীশ কীভাবে তার নতুন জোটের অংশীদার তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের ন্যায্যতা প্রমাণ করতে পারেন? ভোটকূশলীর মতে, অনেক ভেবেচিন্তেই নীতীশজি জোটসঙ্গী বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এই ধরণের ১৮০ ডিগ্রি অবস্থান বদলের ক্ষেত্রে বেশকিছু সময় বৃহত্তর স্বার্থ দেখা প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রেও নীতীশ কুমার তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের থেকে বিহারের সরকার গঠনের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়েছেন।
কিন্তু, আরও তিন বছর আরজেডিকে নিয়ে সরকার চালাতে পারবেন নীতীশ? প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, 'আমি আশা করি তিনি বিহারের জনগণের আশা-আকাঙ্খা পূরণ করবেন। একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে বলছি, সরকার পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হলে, পাঁচ বছরই পূর্ণ করুক। তাহলেই জনগণের মঙ্গল। অবশ্য এই চিন্তা যাঁরা সরকার গঠন করছেন তাঁদের। তবে, আমি পক্ষেও নেই, আর বিরোধী দলেও নেই। আমি শুধু একথা বললাম একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে, সাধারণ মানুষের জন্য।'