মোদীর বিপক্ষে এবার বিরোধী জোটের মুখ নীতীশ কুমার। আর স্বপ্ন নয়, এটার বাস্তবে রূপ দিতে মরিয়া জনতা দল ইউনাইটেডের গো-বলয়ের নেতৃত্ব। বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে লোকসভা ভোটে প্রার্থী করার প্রস্তাব আগেই ছিল। এবার তিনি কোন কোন আসন থেকে লড়তে পারেন তাও চিহ্নিতকরন হয়ে গেল। অপেক্ষাকৃত নিরাপদ বিহারের কোনও আসন থেকে নয়, প্রতিবেশী রাজ্য উত্তরপ্রদেশ থেকে ২০২৪-য়ের লোকসভা ভোটে প্রার্থী হতে পারেন নীতীশ কুমার।
জেডি(ইউ) এর উত্তরপ্রদেশের সভাপতি অনুপ সিং প্যাটেল জানিয়েছেন, নীতীশ কুমারকে সে রাজ্যের মির্জাপুর, ফুলপুর বা আম্বেদকর নগর- এই তিন কেন্দ্রের কোনও একটি থেকে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কারণ, এই আসনগুলিতে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর (ওবিসি) ভোটারদের শক্তিশালী উপস্থিতি রয়েছে। এদের অধিকাংশই কুর্মি, মৌর্য, শাক্য, কুশবাহ এবং সৈনি শ্রেণির। কুমার কুর্মি সম্প্রদায়ের অন্তর্গত যাদের ভোট পূর্ব ও মধ্য ইউপি এবং বুন্দেলখণ্ডের বেশ কয়েকটি নির্বাচনী এলাকায় নির্ধারক শক্তি হিসাবে বিবেচিত।
মির্জাপুর এবং ফুলপুর দুটোই বারাণসীর কাছাকাছি। মির্জাপুরের সাংসদ হলেন আপনা দল(এস) নেতা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুপ্রিয়া প্যাটেল। আপনা দল বিজেপির সহযোগী। এই কেন্দ্রে কুর্মি জনসংখ্যা বেশি। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ওবিসি, উচ্চবর্ণ এবং মুসলমানদের উপস্থিতির কারণে ফুলপুর এবং আম্বেদকর নগরের জনবিন্যাস বারাণসীর সঙ্গে তুলনীয়।
অনুপ সিং প্যাটেলের কথায়, “আমরা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাইনি তবে তাইছি যে ইউপি থেকে নীতীশ কুমারের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুন। রাজ্য স্তরে আলোচনা করার পরে ইউপি ইউনিট কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে।”
কেন উত্তরপ্রদেশ থেকেই নীতীশ কুমারকে ভোটে লড়াইয়ের প্রস্তাব? জবাবে অনুপ সিং প্যাটেল বলেন, "আমাদের জোট ইতিমধ্যেই বিহারে জিততে চলেছে। আমাদের ভোট ইউপিতেও আছে। নীতীশজি ও জেডিইউ-কে জাতীয় রাজনীতি করতে হলে উত্তরপ্রদেশের ভোটারদের মন জয় করতেই হবে। এখান থেকেই দেশের প্রধানমন্ত্রী জিতেছেন। তাই তাঁকে চ্যালেঞ্জ ছুড়তে হলে এই রাজ্য থেকেই ভোটে লড়াই প্রয়োজন।" প্যাটেল যোগ করেছেন যে, লোকসভাকে মাথায় রেখে জেডিইউ উত্তরপ্রদেশে ইতিমধ্যে সাংগঠনিক ভিত্তি পোক্ত করতে ইউপিতে সদস্যপদ অভিযান শুরু করেছে।
প্যাটেলের দাবি, জেডুইউ উত্তরপ্রদেশে দলটি ২০টি লোকসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং ঘোষণা করেছে যে শীঘ্রই মির্জাপুর এবং জৌনপুরে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে সমাবেশের আয়োজন করা হবে।
উল্লেখ্য, অখিলেশ সিং যাদব এবং নীতীশ কুমারের মধ্যে বৈঠকের পরে, লখনউয়ের সমাজবাদী পার্টি (এসপি) অফিসে একটি ব্যানারে জেডি (ইউ) নেতা এবং এসপি প্রধানের ছবি পাশাপাশি ছিল ও স্লোগান উঠেছিল যে, “ইউপি + বিহার = গায়ি মোদী সরকার (ইউপি + বিহার = মোদি সরকারের অবসান)।