তাঁর জমানায় লালুপ্রসাদ যাদব বরাবর নিজেকে পশুপ্রেমী হিসেবে তুলে ধরতে মরিয়া চেষ্টা করতেন। গোবলয়ের রাজ্য বিহারে বিভিন্ন সময় তাঁকে দেখা যেত আলোকচিত্রীদের ডেকে গোরুর সঙ্গে ছবি তোলাতে। সঙ্গে থাকত ভোজপার্টিও। মানেই ওই খানাপিনা। যেখানে বিহারের তাবড় রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী থেকে সান্ত্রীরা আমন্ত্রিত থাকতেন। বর্তমান বিহার বিজেপিতে সেই চল কিছুটা হলেও ধরে রেখেছেন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী ও বর্ষীয়ান নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ। এবার তালিকায় নিজের নামটা লিখিয়ে নিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিহার বিজেপির অন্যতম নেতা নিত্যানন্দ রাই। তবে, সুশীল মোদী বা রবিশংকর প্রসাদরা যেটা করেননি, নিজেকে গোরুপ্রেমী হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা, সেটাই করলেন নিত্যানন্দ।
শনিবার থেকে তিন দিন ধরে, বৈশালী জেলার হাজিপুরে, গঙ্গার ধারে তাঁর খামারবাড়িতে চলল নিত্যানন্দের ভোজপার্টি। বিজেপি সাংসদ, বিধায়করা, নীতীশ কুমার সরকারে বিজেপির মন্ত্রী, বিভিন্ন বিভাগের বিশিষ্টরা এই মধ্যাহ্নভোজ আর নৈশভোজে উপস্থিত ছিলেন। এই ভোটপার্টিতে তাঁর বিরাট আকারের খামারবাড়িটি রাই গ্রাম্য পরিবেশ তৈরি করতেই বেছে নিয়েছিলেন। চেয়ারের সঙ্গে খাটিয়ারও ব্যবস্থা ছিল। রাই নিজেই বিশিষ্ট অতিথিদের তাঁর খামারবাড়ি ঘুরিয়ে দেখান। সেখানে সবজি চাষ হয়, তা দেখান। মেনুতে ভুট্টা এবং মাংসের সঙ্গে নিরামিষ খাবারের আধিক্য ছিল। অতীতে লালুপ্রসাদ যাদব যেভাবে লুঙ্গি পরে, গোরুর সঙ্গে ছবি তুলতেন, এখানেই রাই সেভাবে পোজ দিয়ে ছবি তোলান।
আরও পড়ুন- এবার আরএসএসের কায়দায় উত্তরপ্রদেশের ময়দান থেকে মহল্লায় শাখা বানাবে আপ
এসব দেখে বিহার বিজেপি নেতাদের একাংশ বলাবলি শুরু করেছেন, রাই নিজেকে সমগ্র বিহারের নেতা হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন। তাঁর লক্ষ্য বিহারের রাজনীতিতে আরও বড় জায়গায় নিজেকে তুলে ধরা। তবে, রাইয়ের এই ভোজসভায় বিহার বিজেপির তিন প্রধান মুখ সুশীল মোদী, রবিশংকর প্রসাদ ও গিরিরাজ সিং যোগ দেননি। সেখানে বিহার বিজেপির সভাপতি সঞ্জয় জয়সওয়ালকে কেন্দ্রীয় সরকারের তারিফ করতে শোনা যায়। বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার আগের সরকারগুলোর চেয়ে বিহারের বিকাশের জন্য নিরন্তর চেষ্টা করে চলছে। এই দাবি করে, বিহারের জনগণের কাছে বিষয়টি তুলে ধরার জন্য বিহার বিজেপির নেতাদের কাছে আহ্বান জানান জয়সওয়াল।
Read story in English