দিল্লিতে নতুন ওমিক্রন আক্রান্ত শূন্য, তবে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সংক্রমণ এবং মৃত্যু

মঙ্গলবার একদিনে কোভিডের বলি হয়েছেন, ২৩ জন।

মঙ্গলবার একদিনে কোভিডের বলি হয়েছেন, ২৩ জন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

নতুন করে ওমিক্রনে আক্রান্ত না হলেও দিল্লিতে পাল্লা দিয়েছে বেড়েছে সংক্রমণ এবং মৃত্যু

দিল্লিতে নতুন করে ওমিক্রনে আক্রান্তের কোন খবর পাওয়া না গেলেও, বেড়েছে সংক্রমণ সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা এবং মৃত্যুও। ওমিক্রন আক্রান্তের নিরিখে দিল্লি এই মুহূর্তে তৃতীয় স্থানে রয়েছে, সেখানে মোট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪৬।

Advertisment

সর্বোচ্চ ওমিক্রন আক্রান্তের নিরিখে এগিয়ে মহারাষ্ট্র। মহারাষ্ট্র ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ১,২৮১। ঠিক তার পরেই রয়েছে রাজস্থান। এই মুহূর্তে দেশে মোট ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা ৪,৮৬৮জন। দিল্লিতে সেভাবে গত কয়েকদিনে ওমিক্রনে আক্রান্তের খবর সামনে না এলেও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সংক্রমণ। গত ৪ দিন ধরে দিল্লিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজারের আশেপাশে। সেই সঙ্গে বেড়েছে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা এবং মৃত্যু।

মঙ্গলবারের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে প্রকাশিত বুলেটিন অনুসারে হাসপাতালে ভর্তির মোট ৮৪ জন ভেন্টিলেশনে রয়েছেন, এবং অক্সিজেন সাপোর্টে ছিলেন মোট ৪৮৪ জন যা আগের দিনের তুলনায় বেশ খানিকটা বেশি। সোমবার এই সংখ্যাটা ছিল ৬৫ এবং ৪৩৮ জন। তবে হাসপাতাল সূত্রে খবর, মোট রোগী ভর্তির প্রায় বেশিরভাগ রোগীর করোনা ছাড়াও শরীরে অন্যান্য একাধিক উপসর্গ রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত নিউমোনিয়া এবং ফুসফুসের কোন ক্ষতির ঘটনা সামনে আসেনি।

দিল্লিতে বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৯৩ টি মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে। তার মধ্যে গত মঙ্গলবার একদিনে কোভিডের বলি হয়েছেন, ২৩ জন। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে বেশিরভাগের কোমর্বিডিটি লক্ষ্য করা গেছে।

Advertisment

লোক নায়ক হাসপাতালের একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, "বেশির ভাগ রোগীর মৃত্যু শুধুমাত্র কোভিডের কারণে হয়নি, তাদের শরীরে একাধিক সমস্যা লক্ষ্য করা গেছে। তবে যেহেতু সকলেই কোভিড পজিটিভ ছিলেন, তাই মৃত্যুর কারণ হিসাবে কোভিড ১৯ উল্লেখ করা হয়েছে"। এদিকে সংক্রমণ বাড়ার কারণে দিল্লি সরকার বেসরকারি অফিসগুলিকে ওয়ার্ক ফ্রম হোমে জোর দিতে বলেছে। এবং শহরের হোটেল রেস্তরাঁ গুলিতে বসে খাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।