অপ্রত্যাশিত, অত্যাশ্চর্য বললেও কম বলা হবে! গত বছর করোনা অতিমারী শুরু পরে থেকে রাজ্যে যিনি একার হাতে কোভিড মোকাবিলায় সামনের সারিতে ছিলেন, যাঁর কথা ভারত তো বটেই আন্তর্জাতিক মহলেও চর্চিত। যিনি আন্তর্জাতিক স্তরে ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছেন, তিনিই কি না নয়া মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেলেন না। কিন্তু মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাচ্ছেন হবু মুখ্যমন্ত্রীর জামাই।
কথা হচ্ছে, কেরালার বিদায়ী স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা। ঈশ্বরের আপন দেশে তাঁকে সবাই শৈলজা টিচার বলেই ডাকেন। গত বছর অতিমারী শুরুর পর থেকে ভারতে সব রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মধ্যে তাঁর নামই বেশি চর্চিত এবং প্রশংসিত। তাঁকে নিয়ে বামপন্থীরা গর্ব করতেন। কিন্তু কেরালায় দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতা এসেই নতুন মন্ত্রিসভা থেকে কে কে শৈলজাকে বাদ দিয়েছেন পিনারাই বিজয়ন। বামেদের সাফাই, পার্টি লাইন মেনেই এই নতুন মুখদের মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার শাসক গোষ্ঠী বাম গণতান্ত্রিক জোট নয়া মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা করেছে। সেই তালিকায় শুধু শৈলজাই নন, আগের সরকারের কোনও মন্ত্রীকেই রাখা হয়নি। তবে শৈলজার বাদ যাওয়া নিয়ে সরগরম কেরালা তথা জাতীয় রাজনীতি। গত মন্ত্রিসভার স্টার পারফর্মার, সবচেয়ে প্রশংসিত মন্ত্রীই কি না বাদ! শৈলজাকে বিধানসভায় মুখ্য সচেতক হিসাবে বাছা হয়েছে। এবারে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে পিনারাই বিজয়ন বাদে মন্ত্রিসভার বাকি ১১ জন সদস্যই নতুন মুখ।
৬৪ বছরের শৈলজা এবারের ভোটে কান্নুরের মাট্টানুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ৬০ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছেন। রাজ্যে মারণ নিপা ভাইরাস এবং গত বছর করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছে শৈলজা টিচারের কাজ। বহু আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও পেয়েছেন তিনি। কিন্তু তিনিই এবার মন্ত্রিসভা থেকে বাদ। এই সিদ্ধান্তের জেরে তুমুল রোষের মুখে বাম গণতান্ত্রিক জোট সরকার। শৈলজার জন্য বিরোধী শিবিরের সাংসদ শশী থারুরও বিস্মিত। তিনি টুইট করে শাসক গোষ্ঠীর তীব্র নিন্দা করেছেন।