বোলপুরে সফরে এসে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেইসময় তাঁর একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। যেখানে দেখা যাচ্ছিল, তিনি একটি চেয়ারে বসে বিশ্বভারতীর অতিথি রেজিস্টারে কিছু লিখছেন। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, কীভাবে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চেয়ারে বসলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী? এর জন্য শাহ এবং বিশ্বভারতীর তীব্র নিন্দা করে সবমহল। মঙ্গলবার লোকসভাতেও সেই প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরি। তার পাল্টা জবাব দিলেন শাহ। জানালেন, তিনি কবিগুরুর চেয়ারে বসেননি।
লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে শাহ এদিন আবেদন করেন, তাঁর বক্তব্য যেন রেকর্ড রাখা হয়। বলেন, "বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে বিষয়টি পরিষ্কার করার জন্য উত্তর চেয়েছিলাম। জানতে চেয়েছিলাম, আমি কি কবিগুরুর চেয়ারে বসেছিলাম? চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, এমন কিছুই হয়নি। জানালার পাশে ওই চেয়ারে যে কোনও অতিথি বসতে পারেন। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীও জানালার পাশে ওই চেয়ারে বসেছিলেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যখন বিশ্বভারতীতে এসেছিলেন, তিনিও ওই চেয়ারে বসেছিলেন এবং নিজের মন্তব্যে লিখে এসেছিলেন।"
এরপরই অধীরকে কটাক্ষ করে শাহের জবাব, সোশ্যাল মিডিয়ার উপর ভিত্তি করে সংসদে প্রশ্ন তোলা উচিত নয়।। এটা সংসদের অবমাননার সমান। তাঁর আরও দাবি, "এমন অনেক ছবি আছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরুর যিনি কবিগুরুর চেয়ারে বসেছিলেন, রাজীব গান্ধী কবিগুরুর সোফায় বসে চা খেয়েছিলেন। তাই অধীরবাবুর হয়তো বুঝতে ভুল হয়েছে।" শাহ এটাও দাবি করেছেন, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা মোটেও বলেননি, কবিগুরু জন্মস্থান শান্তিনিকেতনে। এদিন লোকসভায় নেহেরু এবং রাজীব গান্ধীর পুরনো ছবি দেখিয়ে নিজের দাবির স্বপক্ষে প্রমাণ পেশ করেন।