কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বৃহস্পতিবার জীবন বীমা কর্পোরেশন, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং আদানি গ্রুপের অন্যান্য রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠানগুলির দ্বারা জোরপূর্বক বিনিয়োগের তদন্তের দাবি করেছেন। সংসদের বাইরে মল্লিকার্জুন খাড়গে জানান, যৌথ সংসদীয় কমিটি বা ভারতের প্রধান বিচারপতি দ্বারা গঠিত একটি দল দ্বারা এই সমস্যাটি খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত চেয়েছিলেন।
বিরোধী নেতারা বিষয়টি নিয়ে আলোচনার দাবি জানালে আজ সকালে সংসদের উভয় কক্ষ মুলতবি করা হয়। অধিবেশন শুরুর আগে, বিজেপি বিরোধী সমমনস্ক সবদল- কংগ্রেস, ডিএমকে, টিএমসি, এসপি, জেডি(ইউ), শিবসেনা, সিপিআই(এম), সিপিআই, এনসিপি, আইইউএমএল, এনসি, আপ এবং কেরল কংগ্রেসের নেতারা সংসদে বৈঠক করেন বৈঠক করেন। চলতি বাজেট অধিবেশন চলাকালীন সরকারের বিরুদ্ধে আদানি গ্রুপ বিতর্ককে ইস্যু করেছে বিরোদী দলগুলি।
কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছে আদানি শিল্পগোষ্ঠী। সেই আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেই জালিয়াতির অভিযোগ এনেছে মার্কিন গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। সংস্থাটির দাবি, তারা আদানির সংস্থার অংশীদার হিসাবে গত দু’বছর ধরে তদন্ত চালিয়ে জানতে পেরেছে যে, আদানি বাজারকে ইচ্ছেমতো প্রভাবিত করে। এমনকি, তাদের হিসাবরক্ষণেও বিপুল অনিয়ম রয়েছে। এরপরই গত কয়েকদিন ধরে আদানিদের শেয়ারের দর পড়েছে। ফলে বুধবার আদানি গোষ্ঠী সিদ্ধান্ত নেয় যে, ফলো-অন পাবলিক অফার (এফপিও) বন্ধ করে সেই অর্থ বিনিয়োগকারীদের ফেরত দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার শুরুতেই আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ার ১৫ শতাংশ কমে গিয়েছে।
বিরোধীদের অভিযোগ, এসবিআই এবং এলআইসির মাধ্যমে জনসাধারণের অর্থের একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আদানি গ্রুপে আটকে আছে।
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ টুইটারে লিখেছেন যে, সরকার এই সমস্যাটির তদন্তের জন্য বিরোধীদের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। পার্লামেন্টের উভয় কক্ষ আজ দুপুর ২টা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে কারণ সরকার এলআইসি, এসবিআই এবং অন্যান্য রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠানগুলির দ্বারা জোরপূর্বক বিনিয়োগের তদন্তের জন্য বিরোধীদের সম্মিলিত দাবিতে রাজি হয়নি যেগুলি সাম্প্রতিক দিনগুলিতে কোটি কোটি ভারতীয়দের সঞ্চয়কে বিপন্ন করে বিশাল মূল্য হারিয়েছে।