রাজধানীর বুকে ৮ নম্বর তিনমূর্তি লেন। একসময় বহু বার তৃতীয় ফ্রন্টে নির্মাণের ভরকেন্দ্র। যে বাড়িতে একসময় সিপিএমের প্রবাদপ্রতীম সাধারণ সম্পাদক হরকিষেন সিং সুরজিৎ থাকতেন। সোমবার রাতে ফের একবার বিজেপি-বিরোধী সমস্ত নেতা-নেত্রীদের সমাগমে আলোকজ্জ্বল হয়ে উঠল।
কংগ্রেস সাংসদ কপিল সিব্বলের আমন্ত্রণে সেখানে নৈশভোজে উপস্থিত হন শিরোমণি অকালি দল, বিজু জনতা দল, তেলুগু দেশম পার্টি-সহ বহু বিরোধী দলের নেতা। ২০২৪-এর লক্ষ্যে বিরোধীদের চাঁদের হাটে বাদ রইলেন তিন গান্ধি, যা নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে জোর জল্পনা। এদিন রাতে নৈশভোজের টেবিলে একটাই অ্যাজেন্ডা ছিল- বিজেপিকে ২০২৪ কেন্দ্র থেকে হটাতে বিরোধীদের একজোট হতে হবে।
এদিনের চাঁদের হাটে হাজির ছিলেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ার, আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদব, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ওমর আবদুল্লা, তৃণমূলের ডেরেক ওব্রায়েন ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি, আম আদমি পার্টির সঞ্জয় সিং, আরএলডির জয়ন্ত চৌধুরি, ডিএমকে-র তিরুচি শিবা, বিজেডির পিনাকী মিশ্র, শিব সেনার সঞ্জয় রাউত, অকালি দলের নরেশ গুজরাল, এবং টিডিপি ও ওয়াইএসআর কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন সংসদেও ত্রিপুরার আঁচ, গান্ধিমূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভে সোচ্চার তৃণমূল
প্রসঙ্গত, টিডিপি, বিজেপি, ওয়াইএসআর কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা সম্প্রতি সংসদে বিরোধী গোষ্ঠীর বৈঠকে ছিলেন না। পাশাপাশি, গত বছর কংগ্রেসের বর্ষীয়ান ২৩ জন নেতা যাঁরা হাইকমান্ডে বদল চেয়ে সোনিয়া গান্ধিকে চিঠি দিয়েছিলেন, তাঁদের অধিকাংশই এদিন নৈশভোজে নিমন্ত্রিত ছিলেন। এর বাইরে পি চিদাম্বরম এবং তাঁর কার্তিও আমন্ত্রিত ছিলেন।
আরও পড়ুন লোকসভা টিভিতে বিরোধীদের বিক্ষোভের সম্প্রচার মাত্র ৭২ সেকেন্ড, বিতর্ক তুঙ্গে
তবে প্রশ্ন উঠছে, কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব অর্থাৎ সোনিয়া এবং রাহুল-প্রিয়াঙ্কাকে বাদ দিয়ে বিরোধীদের এই নৈশভোজ কতটা তাৎপর্যপূর্ণ? তাহলে কি কংগ্রেসের হাইকম্যান্ডকে বার্তা দিলেন কপিল সিব্বল!
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন