পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকার ডিক্লারেশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই সংগঠনের ছত্রছায়ায় থাকা সব দলগুলো একসঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। তা সে নির্বাচন যখনই হোক না-কেন। আর এতে বিপাকে পড়তে পারে সাজাদ লোনের পিপলস কনফারেন্স, আলতাফ বুখারির আপনি পার্টি, এমনকী জম্মুতে বিপাকে পড়তে পারে বিজেপিও। জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও পিএজিডি সভাপতি ফারুক আবদুল্লা সোমবার জোটসদস্যদের একসঙ্গে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছেন।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং ন্যাশনাল কনফারেন্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওমর আবদুল্লাহ একমাস আগেই যৌথ প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রধান তথা পিএজিডির সহ-সভাপতি মেহবুবা মুফতিও। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিডিপির মতো দলগুলোকে নিয়ে ২০২০ সালে তৈরি হয়েছে পিএজিডি। উদ্দেশ্য, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা পুনরুদ্ধার। গত ৫ আগস্ট, ২০১৯-এ বাতিল হয়েছিল জম্মু-কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বা বিশেষ মর্যাদা।
আরও পড়ুন- ভারতীয় বিচারব্যবস্থা বরাবরই নিরপেক্ষ, নুপুর শর্মার ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষণ তাই নতুন কিছু নয়
এটি পিপলস কনফারেন্স নেতা সাজাদ লোনের রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার জন্য মোটেও ভালো খবর নয়। তেমনই দুই বছর আগে পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি বা পিডিপি ভেঙে তৈরি হওয়া আলতাফ বুখারির আপনি পার্টির জন্যও ভাল খবর নয়। ২০১৪ সালে পিপলস কনফারেন্স বিধানসভা নির্বাচনে পূর্ববর্তী জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের দুটি আসন জিতেছিল। দুটোই কুপওয়ারায়। এই দুটি আসনে দলের ভোটের হার ২৪.৭ শতাংশ। এখন ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং পিডিপির ভোট যদি একদিকে থাকে, তবে তার বিরুদ্ধে ভোটের শতাংশের হিসেবেই পিপলস কনফারেন্সের জেতা সম্ভব না।
আর, আপনি পার্টিকে এখনও উপত্যকাবাসী বিজেপির লেজুড় বলেই মনে করে। যার ফলে তারা বহু চেষ্টা করেও এখনও উপত্যকায় ক্যাডার সেভাবে তৈরি করতে পারেনি। শুধু কিছু নেতাকে নিয়ে তারা কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনে কতটা ভালো ফল করতে পারবে, তা নিয়ে সন্দিহান উপত্যকার বিভিন্ন মহল। বিজেপির অবস্থাও তথৈবচ। কাশ্মীর উপত্যকায় এমনিতেই বিজেপির সাফল্যের সম্ভাবনা ক্ষীণ। ২০১৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে, গেরুয়া শিবির উপত্যকায় সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছিল। কিন্তু, সেটাও ২.২ শতাংশ। এই ভোট নিয়ে উপত্যকায় খাতা খুলতে পারেনি।
Read full story in English