/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/12/Supreme_Court.jpg)
সুপ্রিম কোর্ট।
নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে কেন্দ্রের একছত্র ক্ষমতা খর্ব করল সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সহ বাকি কমিশনারদের নিয়োগ হবে একটি কমিটির মাধ্যমে। সেই কমিটির সদস্য হবেন, প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা (বিরোধী দলনেতা না থাকলে লোকসভার একক সর্ববৃহৎ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা) ও দেশের প্রধান বিচারপতি। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখা সম্ভব বলে মনে করছে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ।
নির্বাচন পরিচালনায় স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার প্রয়োজন। দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, তিন সদস্যের কমিটি শুরুতে নতুন নির্বাচন কমিশনারদের নাম প্রস্তাব করবে। তার ভিত্তিতেই কমিশনারদের রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত করবেন। বর্তমান প্রক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে নির্বাচন কমিশনারদের নিযুক্ত করেন রাষ্ট্রপতি। তাঁদের কার্যকালের মেয়াদ হয় ৬ বছর। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর এবার এই নিয়মে বদল আসছে।
নির্বাচন কমিশনারদের মনোনয়ন ও নিয়োগ ঘিরে বিরোধী দলগুলোর প্রশ্ন নতুন নয়। শাসক দলের ঘনিষ্ঠ আমলাদের নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নিয়োগ করা হয় বলে বিভিন্ন আমলে অভিযোগ থাকে। প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা ও দেশের প্রধান বিচারপতি সম্বলিত কমিটির সুপারিশে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ হলে বিরোধীতার স্থান থাকবে না বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিন বিচারপতি রাস্তোগি বলেছেন, মুখ্য নির্বাচন কমিশনারে অপসারণের জন্য যে সুরক্ষাবলয় রয়েছে বাকি দুই নির্বাচন কমিশনারদের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য হওয়া উচিত।