সংসদ ভবন চত্বরে আর ধর্না, বিক্ষোভ প্রদর্শন করা যাবে না। শুক্রবার নির্দেশ জারি করেছে রাজ্যসভার সচিবালয়। এছাড়া, এখন থেকে সংসদ ভবন প্রাঙ্গনে কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানও নিষিদ্ধ। বুধবার লোকসভার সচিবালয়ের তরফে অসংসদীয় শব্দগুচ্ছের তালিকা প্রকাশ ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। মোদী সরকারকে নিশানা করছে বিরোধী দলগুলি। সেই রেশ কাটার আগেই এবার রাজ্যসভার সচিবালয়ের নির্দেশিকা বিতর্কে নয়া মাত্রা যোগ করল।
আগামী সোমবার থেকে শুরু সংদের বাদল অধিবেশন। তার আগে শুক্রবার রাজ্যসভার সেক্রেটারি জেনারেল পি সি মোদীর তরফে সংসদ চত্বরে ধরনা, বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। সাংসদদের নির্দেশিকা মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। রাজ্যভার বুলেটিনে উল্লেখ, 'সংসদ সদস্যরা কোনও বিক্ষোভ, ধর্মঘট, ধরনা, অনশন বা কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের জন্য সংসদ ভবনের চত্বর ব্যবহার করতে পারবেন না।'
এ দিনের নির্দেশিকার পরই মোদী সরকারকে নিশানা করেছে কংগ্রেস। রাজ্যসভার সাংসদ জয়রাম রমেশ লিখেছেন, 'বিশ্বগুরুর নয়া নির্দেশ 'D(h)arna Mana Hai!' ওই পোস্টেই ১৪ জুলাইয়ের নির্দেশিকার প্রতিলিপিও দিয়েছেন রমেশ।
বিরোধী সদস্যরা অতীতে সংসদ প্রাঙ্গনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি পাদদেশে ধরনা, অবস্থান ও অনশনেও বসেছেন। কিন্তু নয়া নির্দেশিকার পর সেই দৃশ্য আর দেখা যাবে না।
বালুরঘাটের সাংসদ তথা বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অবশ্য নয়া ফরমানকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁর যুক্তি, 'ধরনা, বিক্ষোভের জন্য যন্তরমন্তর সহ অনের জায়গা রয়েছে। সংসদ আলোচনার জায়গা, বিতর্ক করুন। আর বিক্ষোভ দেখান নির্দিষ্ট জায়গায়।'
তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের দাবি, পুরোটাই বিরোধীদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা। বলেন, 'সাংসদদের অধিকারে হস্তক্ষেপ। প্রতিবাদ করতেই হবে। এভাবে বিরোদীদের আটকে রাখা যাবে না।'
উল্লেখ্য, বুধবারই সংসদে অধিবেশন চলাকালীন বেশ কিছু শব্দকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেছে লোকসভা সচিবালয়। অসংসদীয় শব্দের তালিকায় স্থান পেয়েছে ‘লজ্জাজনক’, ‘অপব্যবহার’, ‘বিশ্বাসঘাতকতা’, ‘নাটক’, ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’, ‘অযোগ্য'-র মতো শব্দগুলি। সরব হয়েছেন বিরোধীরা। যদিও লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার যুক্তি, 'কোনও শব্দই নিষিদ্ধ করা হয়নি।'