দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের শাসক দলের একের পর এক নেতা জেলে। অস্বস্তিতে তৃণমূল। এর মধ্যেই
জাতীয়স্তরের রাজনীতিতে বড় ধাক্কা খেল জোড়া-ফুল শিবির। তৃণমূল ছাড়লেন প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ পবন বর্মা। টুইট বার্তায় দলত্যাগের কথা ঘোষণা করেছেন এই বর্ষীয়ান নেতা। পাশাপাশি, ‘স্নেহ ও সৌজন্য’র জন্য তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
টুইটে পবন বর্মা লিখেছেন, ‘প্রিয় মমতাজি, অনুগ্রহ করে তৃণমূল থেকে আমার পদত্যাগ গ্রহণ করুন। আমাকে যে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়েছিল এবং আপনার স্নেহ ও সৌজন্যের জন্য আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি যোগাযোগ বজায় রাখতে মুখিয়ে রয়েছি। আপনাকে শুভকামনা জানাই।’
পবন বর্মা গত নভেম্বরে দিল্লিতে মমতার সফরের সময় তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। বিজেপি বিরোধীদের শক্তিশালী করার জন্যই তৃণমূল নেত্রীর হাত শক্ত করতে চেয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, ‘সাধারণ মানুষের স্বার্থে তৃণমূলের ক্ষমতায় আসার প্রয়োজন রয়েছে।’
নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ থেকে রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন পবন বর্মা। কিন্তু, ২০২০ সালে, সংশোধনী নাগরিকত্ব আইন নিয়ে জেডিইউ নেতৃত্বের সঙ্গে পবন বর্মা এবং প্রশান্ত কিশোরের বিরোধ হয়। জেডি(ইউ) থেকে তাঁদের বহিষ্কার করা হয়েছিল।
প্রশ্ন হল, যোগদানের মাত্র ৯ মাসের মধ্যে কেন তৃণমূল ছাড়লেন পবন বর্মা? টুইটে দলত্যাগের কোনও কারণ জানাননি প্রাক্তন সাংসদ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিহারের রাজনীতিতে পালাবদল হয়েছে। নীতীশ কুমার পদ্মের সঙ্গে ত্যাগ করে হাত ধরেছেন লন্ঠনের। বর্তমানে জেডুইউ-আরজেডি জোট ক্ষমতায়। বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন নীতীশ কুমার। সম্ভবত মুখ্যমন্ত্রীর বিজেপি বিরুদ্ধ কড়া পদক্ষেপই পবন বর্মার তৃণমূল ছাড়ার অন্যতম কারণ হতে পারে।