তেলেঙ্গানাবাসী বিজেপির ডবল-ইঞ্জিন সরকার চায়। এই সরকারের দিকে মানুষ পা বাড়িয়েই আছে। রবিবার সেকেন্দ্রাবাদের কর্মিসভায় দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করতে এমনটাই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একইসঙ্গে তিনি আগামিদিনে তেলেঙ্গানায় বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য কর্মীদের ঝাঁপিয়ে পড়তেও আহ্বান জানিয়েছেন। সভায় মোদী বলেন, 'অন্যান্য রাজ্যেও আমরা দেখছি যে বিজেপির ডবল-ইঞ্জিন সরকার মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। এমনকী তেলেঙ্গানাতেও মানুষ বিজেপির ডবল-ইঞ্জিন সরকারের দিকে পা বাড়িয়েই আছে।'
মোদী বলেন, 'তেলেঙ্গানাবাসী অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করতে পারেন। এই রাজ্যের বাসিন্দাদের ব্যাপক প্রতিভা আছে। তেলেঙ্গানা তার ইতিহাস এবং সংস্কৃতির জন্য পরিচিত। এর শিল্প এবং স্থাপত্য আমাদের সকলের জন্য অত্যন্ত গর্বের।' বিজেপির কাজের খতিয়ান পেশ করে মোদী দাবি করেন, 'বিজেপি কেবল উদ্ভাবন এবং কারিগরি ক্ষেত্রেই জোর দিচ্ছে না। বরং, গরিব মানুষের হাতে সম্পদ পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রেও কাজ করে চলেছে। আমরা তেলেঙ্গানার কৃষকদের স্বার্থে লাগাতার কাজ করে চলেছি। গত আট বছরে তেলেঙ্গানার জাতীয় সড়কের দৈর্ঘ্য দু'বার বেড়েছে।'
আরও পড়ুন- গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস যেন একটাও ভোট না-পায়, কর্মীদের বার্তা কেজরিওয়ালের
প্রধানমন্ত্রী জানান, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার তাঁর প্রকল্পগুলোর সঙ্গে ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে যুক্ত করায় মহিলাদের আর্থিক উন্নতি ঘটেছে। তিনি বলেন, 'সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে মহিলারা আগের চেয়ে বেশি পরিমাণ অর্থ ব্যাংকে রাখছেন। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে এই প্রবণতা বেড়েছে। সমীক্ষা বলছে, আর্থিক ক্ষেত্রে মহিলারা এখন আগের চেয়ে বেশি যোগদান করছেন। এটা সম্ভব হয়েছে কারণ, আমরা ব্যাংকিং ব্যবস্থার সঙ্গে তাঁদের যুক্ত করেছি।'
এর আগে হায়দরাবাদে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে মোদী দলীয় কর্মীদের পিছিয়ে পড়া মানুষের কাছে আরও বেশি করে পৌঁছনোর নির্দেশ দেন। হিন্দু বাদে অন্যান্য সম্প্রদায়ের পিছিয়ে পড়া মানুষের দিকে কর্মীরা যাতে বেশি করে নজর দেন, সেই নির্দেশ দেন তিনি। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের আজমগড় ও রামপুরের উপনির্বাচনে বিজেপি জয়ী হয়েছে। এই দুটি লোকসভা আসনেই মুসলিম সম্প্রদায়ের ভোটারের সংখ্যা বেশি। সেকথা মাথায় রেখেই মোদী তাঁর বক্তব্যে মুসলিমদের পসমন্দা সম্প্রদায়ের মত পিছিয়ে পড়া অংশকে কাছে টানতে বিজেপি কর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন। এমনটাই মনে করছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
Read full story in English