“দেশের আইনের উপরে ভরসা রাখুন। বাড়তি কথা বলা বন্ধ করুন।” এ ভাষাতেই রাম মন্দির নিয়ে বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পরে রাম মন্দির বিতর্কে এই প্রথম মুখ খুললেন নমো। সেখানেই দলের নেতা কর্মী থেকে বাকি জনসাধারণদের প্রকাশ্যেই রামমন্দির নিয়ে উলটো পালটা মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে বললেন।
মহারাষ্ট্রের নাসিকে মহাজনাদেশের সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বলেন, “শেষ ২-৩ সপ্তাহ ধরে কিছু বাক্যবাগীশ লোকজন রাম মন্দির নিয়ে অনর্থক কথাবার্তা বলে চলেছেন। সুপ্রিমকোর্টের উপরে ভরসা রাখুন। পুরো বিষয়টিই বর্তমানে আইনের হাতে। প্রত্যেক পক্ষই নিজেদের মতামত আদালতকে জানিয়েছে। সুপ্রিমকোর্ট তাদের বক্তব্য শুনছে।” এর সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টিভঙ্গিই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, সরকারের আদালত ও সংবিধানের প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে। “অবাক হয়ে ভাবতে থাকি, এই সমস্ত বয়ান বাহাদুররা কোথা থেকে আসেন? কেন তাঁরা পুরো বিষয়ের মধ্যে সমস্যা তৈরি করছেন। সুপ্রিমকোর্ট, সংবিধান এবং দেশের আইনের উপরে আস্থা থাকা প্রয়োজন আমাদের। জনসাধারণের প্রতি আমার আবেদন, দেশের আইনের সম্মান করুন। ঈশ্বরের দোহাই।” বলছেন মোদী।
আরও পড়ুন অযোধ্যায় গিয়ে রামমন্দির নির্মাণের তারিখ জানতে চাইলেন শিবসেনা প্রধান
কয়েকদিন আগেই শিবসেনা প্রধান উদ্ধব থাকরে রাম মন্দির ইস্যুতে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের উপরে চাপ দিয়ে জানিয়েছিলেন, রাম মন্দিরের জন্য সরকারকে আরও কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। ১৯৯২ সাল থেকে বিষয়টি ঝুলে রয়েছে। শিব সৈনিকদের বলা হয়েছে, মন্দিরের প্রথম ইঁট স্থাপন করার জন্য। তারপরেই খোদ মহারাষ্ট্রে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এমন বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন রামমন্দির প্রসঙ্গ: ন্যায়বিচারে দেরি হলে অযোধ্যায় মহাভারত রচিত হতে পারে- মোহন ভাগবত
ঘটনাচক্রে রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে আইনি লড়াই বেশ কয়েকদশকের। সম্প্রতি সুপ্রিমকোর্ট নিজস্ব রায়ে জানিয়েছে, ১৮ অক্টোবরের মধ্যে সমস্ত পক্ষের শুনানি শেষ করবে। মামলার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত পক্ষকে এই নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে শুনানি সম্পন্ন করার আর্জিও জানিয়েছে সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। পাশাপাশি মধ্যস্থতার রাস্তাও খোলা রেখেছে শীর্ষ আদালত।
Read the full article in ENGLISH