ইতিহাস গড়ে দ্বিতীয়বার কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন প্রবীণ সিপিএম নেতা পিনারাই বিজয়ন। বৃহস্পতিবার তিরুবনন্তপুরমের সেন্ট্রাল স্টেডিয়ামে ৫০০ জন অতিথির সামনে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। করোনা পরিস্থিতিতে এত অতিথি সমাগম নিয়ে শাসকগোষ্ঠীর মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। স্বভাবতই এটা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
রাজ্যের ইতিহাসে বিজয়নই হলেন প্রথম যিনি টানা দুবার ক্ষমতায় ফিরলেন। প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে পরপর দুবার তিনি শপথ নিলেন। এর আগে সিপিআই নেতা সি অচ্যুতা মেনন দুবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। কিন্তু পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করেননি তিনি। বিজয়ন ২০১৬ থেকে পাঁচ বছর মেয়াদ সম্পূর্ণ করে ফের ভোটে জিতে ক্ষমতায় এলেন।
এদিন বিজয়নের সঙ্গে শপথ নেন নবগঠিত মন্ত্রিসভার ২১ জন সদস্য। এই মন্ত্রিসভায় এবার বাম গণতান্ত্রিক জোটের সব দলেরই সদস্য রয়েছেন। তবে বিতর্ক পিছু ছাড়েনি বিজয়নের। গত মন্ত্রিসভার 'স্টার পারফর্মার' কে কে শৈলজাকে তিনি এবার বাদ দিয়েছেন। তাঁর জায়গায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হচ্ছেন প্রাক্তন সাংবাদিক বীণা জর্জ।
শৈলজা টিচার বাদ পড়লেও মন্ত্রিসভায় ঢুকেছেন বিজয়নের জামাই মহম্মদ রিয়াজ। শৈলজাকে এবার বিধানসভার মুখ্য সচেতক করা হয়েছে। শৈলজার বাদ পড়ায় অসন্তুষ্ট সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি। যদিও কেরালা সিপিএমের দাবি, দলীয় গণতন্ত্র মেনেই এবার পুরনো সব মন্ত্রীদেরই বাদ দেওয়া হয়েছে। শৈলজাও দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে বলেছেন, দল যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা শিরোধার্য।