/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/05/himanta-biswa-sharma.jpg)
অসমের প্রধানমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
বিজেপি সরকারের প্রত্যাবর্তনের বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান। মঞ্চে বসে অমিত শাহ। সেই অনুষ্ঠানেই নিজের বক্তব্যে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও অমিত শাহকে প্রধানমন্ত্রী বলে সম্বোধন করেন। পুরটাই মুখ ফসকে হয়েছে বলে দাবি করেছে বিজেপি। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রীর সেই মন্তব্যে গভীর কৌশল দেখছে বিরোধী হাত শিবির। একই সুর অসমের অন্যান্য় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির।
When @sarbanandsonwal Ji was the CM, MP @pallablochandas on several occasions referred to cabinet minister @himantabiswa ji as the CM in public!
Has #BJP decided its next @PMOIndia replacing @narendramodi Ji?
Or a campaign has been launched to promote @AmitShah ji as the PM? pic.twitter.com/BgqgbbajXC— Assam Congress (@INCAssam) May 10, 2022
হিমন্ত বিশ্বশর্মার 'অনিচ্ছাকৃত' ভুলের সঙ্গে অতীতে অসমের এক বিজেপি সাংসদের মন্তব্যের মিল খুজে পাচ্ছে কংগ্রেস। এই প্রসঙ্গে এ দিন দেশের শতাব্দী প্রাচীন রাজনৈতিক দলের তরফে একটি টুইট করা হয়। সেখানেই উল্লেখ, 'যখন সর্বানন্দ সোনওয়াল মুখ্যমন্ত্রীছিলেন তখন অসমের এক সাংসদ হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে মুখ্যমন্ত্রী বলে সম্বোধন করেছিলেন। পরে দেখা গেল, তিনিই নির্বাচনে জিতে মুখ্যমন্ত্রী হলেন। এবার ঠিক সেভাবেই অমিত শাহকে প্রধানমন্ত্রী বললেন হিমন্ত।'
কংগ্রেসের প্রশ্ন, 'তাহলে বিজেপি কি দেশের প্রধানমন্ত্রী মোজীজিকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে? নাকি নাকি অমিত শাহজিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাসোনর আগে প্রচার চলছে?'
একই প্রশ্ন অসম জাতীয় পরিষদের (এজেপি) মুখপাত্র জিয়াউর রহমানেরও। তাঁর টুইট, শর্মার শাহকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে সম্বোধন করা 'মুখ ফসকানো নয় বরং একটি কৌশল'। তিনি রাজ্যে সোনওয়াল সরকারের মেয়াদের শেষভাগের উল্লেখ করেছেন। জানিয়েছেন যে, লোকসভা সাংসদ পল্লব লোচন দাস এবং অন্যদের দ্বারা সেই হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে সম্বোধন করা হয়েছিল। রহমানের কথায়, 'এ ধরনের বক্তব্যের পেছনের মূল উদ্দেশ্য পরে স্পষ্ট হয়েছে। সুতরাং, আজকের প্রেক্ষাপটে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে সম্বোধন করার পিছনে মুখ্যমন্ত্রী শর্মার উদ্দেশ্য বোঝা কঠিন নয়।'
যদিও বিজেপির মুখপাত্র রুপম গোস্বামী বিরোধীদের দাবিকে খারিজ করেছেন। তাঁর কথায়, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য 'নিছকই মুখ ফসকে ভুল ছিল। এটা যে কারোর সঙ্গেই ঘটতে পারে। এমনকী এতে নরেন্দ্র মোদী বা অমিত শাহও ক্ষুব্ধ নন।' বিরোধী শিবিরকে কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, 'বিরোধী দলগুলির জনগণের সমস্যা শোনার দিকে মনোনিবেশ করা উচিত এবং বাস্তব সমস্যা নিয়ে কথা বলা উচিত।'
Read in English