'অচ্ছে দিন'-এর প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসেছিল। এবার, কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলোর সাহায্যে সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলোকে যাতে রাজ্যগুলোও অবিলম্বে কাজে লাগায়, তার ওপর তিনি জোর দিলেন।
বুধবার এক ওয়েবিনারে তিনি দেশের সামগ্রিক উন্নতির স্বার্থে সরকারি প্রকল্পগুলোকে একশোভাগ কাজে লাগানোর ওপর জোর দেন। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, এতেই জনগণের যাবতীয় চাহিদা মিটে যাবে। যদি সরকারি প্রকল্পে ব্যয় করা প্রতিটি পাই-পয়সা কাজে লাগানো যায়, তবে দেশবাসীর কোনও সমস্যাই থাকবে না।
বুধবার গ্রামীণ ক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ সংক্রান্ত এক বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এমনই জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আপনারা এখানে আলোচনা করতে এসেছেন যে কীভাবে আমি গ্রামীণ জনগণের জন্য প্রতিটি অর্থ কাজে লাগাবো, সেই ব্যাপারে। আমি বলছি, যদি সেটা করতে পারি, তবে দেখবেন দেশবাসীর কেউ আর পিছিয়ে নেই। বর্তমানে গ্রামের জন্য প্রচুর অর্থ বরাদ্দ হয়। যদি সেই অর্থ সঠিক সময়ে খরচ করা হয়, তবে দেখবেন গ্রামীণ উন্নয়নের চেহারাই আমূল বদলে যাবে।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশের বেশিরভাগ রাজ্যে কতটা বরাদ্দ হল, তার চেয়েও বরাদ্দ অর্থ থেকে কতটা পাওয়া গেল, সেটা দেখা উচিত। কীভাবে তাঁর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার দেশের প্রতিটি গ্রামে জল, বিদ্যুৎ, রান্নার গ্যাসের সংযোগ, শৌচাগার, রাস্তা- গত সাত বছরে তৈরি করেছে, বক্তৃতায় সে কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশের একশো শতাংশ মানুষের চাহিদা যাতে সরকারি প্রকল্পগুলো পূরণ করতে পারে, এখন তারই ওপর জোর দিতে হবে।
আরও পড়ুন- টানটান উত্তেজনার মধ্যেই ইউক্রেন সীমান্তে বাড়ল রুশ সেনা
পাশাপাশি, দেশের গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশের জন্য আরও বেশি গ্রামীণস্তরে শিল্পোদ্যোগ প্রয়োজন বলেও প্রধানমন্ত্রী জানান। যে উদ্যোগের মাধ্যমে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষটিকেও এগিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব হবে। আর, এই উদ্যোগের সেটাই উদ্দেশ্য হওয়া উচিত বলেই প্রধানমন্ত্রী জানান।
তিনি বলেন, দেশের একজন নাগরিকও যাতে পিছিয়ে পড়ে না-থাকেন, তা নিশ্চিত করা এই উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত। আর, উদ্যোগের সাফল্যের জন্য দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও গতিশীল করা দরকার। একথা মাথায় রেখেই বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার দেশের সর্বত্র অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগের আধুনিকীকরণে জোর দিয়েছে। এতে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে। পাশাপাশি, উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। যার হাত ধরে গ্রামবাংলার চেহারা সম্পূর্ণ বদলে যাবে বলেও প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন।
Read story in English