প্রতিনিয়তই হুমকি দিচ্ছে পাকিস্তান। সীমান্তে সক্রিয় চিনের হুমকিও। তালিবান আবার আফগানিস্তানে ক্ষমতায় আসার পর পাকিস্তানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাশ্মীরে ভারতকে চাপে ফেলতে চাইছে। তারমধ্যেই ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত আছড়ে পড়েছে ইরাকের মার্কিন দূতাবাসে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কুর্দ টেলিভিশন সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ও। ইউক্রেনে তো রাশিয়া লাগাতার হামলা চালিয়েই যাচ্ছে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে রবিবার উচ্চপর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বৈঠকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন-সহ শীর্ষস্তরের প্রায় সব মন্ত্রীই উপস্থিত ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন বিভিন্ন মন্ত্রকের আমলারাও। আলোচনায় স্বাভাবিক ভাবেই উঠে এসেছে ইউক্রেন পরিস্থিতির কথা। রাশিয়ার হামলায় আক্রান্ত ইউক্রেন। অর্থ-সহ নানা ক্ষেত্রে তার প্রভাব বিশ্বজুড়ে পড়েছে। ভারত এই হামলায় বিভিন্ন ভাবে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা-ও বৈঠকের আলোচনায় উঠে এসেছে।
২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে নয়াদিল্লির মূল কাজ ছিল ২০ হাজার ভারতীয় পড়ুয়াকে ইউক্রেন থেকে উদ্ধার করা। সেই কাজ ঠিকমতো হয়েছে। তবে, এখনও রাশিয়া এবং বেলারুশের মতো দেশে বহু ভারতীয় পড়ুয়ারা আটকে আছেন। তাঁদের অনেকের অবস্থাই বেহাল হয়ে পড়েছে। কারণ, ওই সব ভারতীয়রা না এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দেশে ফিরতে পারছেন। না-পাচ্ছেন ভারতে তাঁদের আত্মীয়দের থেকে অর্থসাহায্য। কারণ, বিভিন্ন কার্ড সংস্থা রাশিয়া এবং বেলারুশে তাদের কার্ডের লেনদেন বাতিল করেছে। শুধু তাই না। রাশিয়ার ব্যাংকগুলো আন্তর্জাতিক দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আর্থিক লেনদেন শুধু ভার্চুয়াল ছাড়া অন্য মাধ্যমে হওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন- দুঃখপ্রকাশেও সন্তুষ্ট নয় পাকিস্তান, ভারতীয় মিসাইল আছড়ে পড়ার যৌথ তদন্ত দাবি
এই অসুবিধা শুধু ওই সব দেশে আটকে থাকা পড়ুয়াদেরই না। রাশিয়া থেকে প্রায় প্রতিবছরই ভারত বিপুল পরিমাণ অস্ত্র কেনে। পূর্বের চুক্তি অনুযায়ী, বেশ কিছু অস্ত্র অবিলম্বে ভারতে পৌঁছনোরও কথা। কিন্তু, রাশিয়ার ব্যাংকগুলোর আর্থিক লেনদেন আন্তর্জাতিকস্তরে বাতিল হওয়ায় রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য তথা রাশিয়া থেকে ভারতে অস্ত্র আমদানি বিশ বাঁও জলে পড়েছে।
Read story in English