সপ্তাহ দুয়েক পরেই ভারতে আসছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। তার আগে সোমবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের সঙ্গে সোমবার ভার্চুয়াল বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক চুক্তির সৌজন্যে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে। জল ব্যবস্থাপনা, পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি এবং খনিজ সম্পদ ও সুরক্ষা-সহ নানা ক্ষেত্রে বর্তমানে ভারত-অস্ট্রেলিয়া পরস্পরের অগ্রগতির অংশীদার। সেই অগ্রগতি বজায় রাখতে দুই দেশই বদ্ধপরিকর। সেসব বিষয়ই সোমবার উঠে এল মোদী-মরিসনের বৈঠকে।
এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, 'আমাদের সহযোগিতা মুক্ত, সর্বাঙ্গীণ ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রতি দায়বদ্ধতার প্রতিচ্ছবি। আর্থিক বন্ধনের জন্য ব্যাপক আর্থিক সহযোগিতা চুক্তি নিয়ে প্রাথমিকভাবে কথা হয়েছে। আমাদের শেষ ভার্চুয়াল বৈঠকে আমরা আমাদের সম্পর্ককে ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্বের রূপ দিয়েছি। দুই দেশের বার্ষিক বৈঠকের প্রস্তুতির ব্যবস্থা করতে পেরে আমি খুশি। এটা আমাদের সম্পর্কের নিয়মিত পর্যালোচনা বৈঠকের পথ সুগম করবে। গত কয়েক বছরে আমাদের সম্পর্কের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা, শিক্ষা এবং আবিষ্কার, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির মতো ক্ষেত্রে আমরা খুব ঘনিষ্ঠভাবেই গত কয়েক বছর ধরে পরস্পরের সহযোগিতা করছি।'
আরও পড়ুন- সুখী দেশের তালিকা প্রকাশ, দেখে নিন ভারতের নম্বর
অস্ট্রেলিয়া থেকে বেশ কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক সামগ্রী ফিরিয়ে এনেছে ভারত। তার মধ্যে ভগবান শিব ও তাঁর অনুগামীদের মূর্তি রয়েছে, ভগবান বিষ্ণুর মূর্তি রয়েছে আবার জৈন সম্প্রদায়ের মূর্তিও রয়েছে। বৈঠকে সেই নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, 'ভারতকে তার প্রত্নতাত্ত্বিক সামগ্রীগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করায় আপনাকে ধন্যবাদ। আপনি যে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো পাঠিয়েছেন, সেগুলো কয়েকশো বছরের পুরনো। রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাত, হিমাচল প্রদেশ থেকে ওই সব প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দশন চুরি হয়েছিল। সেসব ফিরিয়ে দেওয়ায় ভারতবাসীর পক্ষ থেকে আমি আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি।'
বৈঠকে স্বাভাবিক ভাবেই উঠে এসেছে ইউক্রেন প্রসঙ্গ। ইউক্রেনের ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে উভয় নেতাই উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এই পরিস্থিতির আঁচ যেন ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ওপর না-পড়ে, তা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। ইউক্রেনে ধারাবাহিক মৃত্যুমিছিলের জন্য রাশিয়া দায়বদ্ধ। বৈঠকে তেমনই অভিযোগ করেন মরিসন।
Read story in English