নিজের পিঠ নিজেই চাপড়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গুজরাতে চলতি বছর হতে চলা বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে শনিবার তিনি তুলে ধরলেন কেন্দ্রীয় সরকারের সাফল্যের কিসসা। কেন্দ্রীয় সরকারের আট বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গুজরাতবাসীর আবেগও উসকে দেওয়ার চেষ্টা চালালেন প্রধানমন্ত্রী। দাবি করলেন মহাত্মা গান্ধী ও সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল যে ভারত গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন, তাকেই তিনি আট বছর ধরে বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করে চলেছেন। বিশেষ করে সংকটের সময় দরিদ্র এবং বেকারদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর সরকার সেই চেষ্টার কথা প্রমাণও করে দিয়েছে।
আট বছর আগে তিনি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়েছেন। কিন্তু, তারপরও বিজেপির জনপ্রিয়তাকে বাড়াতে তাঁকেই সামনে দাঁড়াতে হয়। শনিবার ফের যেন তা স্পষ্ট করে দিলেন নরেন্দ্র মোদী। গুজরাতবাসীকে বোঝানোর চেষ্টা করলেন, তিনি যে ভারত নির্মাণে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন, বিজেপিশাসিত গুজরাত তাতে সহযোগিতা করছে। কীভাবে তাঁর সরকার গান্ধী-প্যাটেলের পথে হাঁটছে, বক্তব্যে তা-ও স্পষ্ট করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'যখন মহামারী শুরু হয়েছিল, সেই সময় দেশের দরিদ্র শ্রেণি খাদ্য এবং পানীয়ের সমস্যায় ভুগছিলেন। সেকথা মাথায় রেখে আমাদের সরকার দেশের দরিদ্রদের সামনে শস্যভাণ্ডার খুলে দিয়েছিল।'
আরও পড়ুন- পঞ্জাবে রাজ্যসভার প্রার্থী বাছল আপ, মানের বাছাই প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ অকালির
ভারতীয় সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ তাঁর ওপর যে প্রভাব ফেলেছে, বক্তব্যে তা-ও তুলে ধরার চেষ্টা করেন প্রধানমন্ত্রী। গুজরাতবাসীর আবেগ উসকে দিয়ে তিনি বলেন, 'আমি এখানে যে মূল্যবোধ ও শিক্ষা পেয়েছি, সেই মূল্যবোধ এবং শিক্ষা থেকেই আমি মাতৃভূমির সেবায় কোনও খামতি রাখিনি। গুজরাতের মানুষ আমাকে শিখিয়েছে কীভাবে সমাজের জন্য বাঁচতে হয়।' পরে প্রধানমন্ত্রী গান্ধীনগরের মহাত্মা মন্দিরে ‘সহকার সে সমৃদ্ধি’ বিষয়ক বিভিন্ন সমবায় প্রতিষ্ঠানের সেমিনারে ভাষণ দেন। প্রায় সাত হাজার প্রতিনিধি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে, প্রধানমন্ত্রী প্রায় ১৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ইফকো, কালো-এ নির্মিত একটি ন্যানো ইউরিয়া (তরল) কারখানারও উদ্বোধন করেন।
Read full story in English