গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন প্রমোদ সাওয়ান্ত। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার তিনি গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী হলেন। শপথবাক্য পাঠ করান গোয়ার রাজ্যপাল পিএস শ্রীধরন পিল্লাই। সাওয়ান্তের সঙ্গেই মন্ত্রীপদে শপথ নিলেন বিশ্বজিত্ পি রানে, মৌভিন গডিনহো, রবি নায়েক, নীলেশ কাবরাল, সুভাষ শিরোদকর, রোহন খউন্তে, গোবিন্দ গউড়ে ও আতানাসিও মনসেরেট। নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ উপলক্ষে তালেইগাওয়ে ডক্টর শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি স্টেডিয়ামে এক বিরাট অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপির অন্য শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। শপথ অনুষ্ঠানকে সামনে থেকে দেখতে স্টেডিয়ামে প্রায় ১০ হাজার বিজেপি নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
Advertisment
সাওয়ান্ত নিজে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। সোমবার যাঁরা শপথ নিলেন, তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন গত গোয়া মন্ত্রিসভার সদস্য। যেমন রানে, গোদিনহো, কারবাল ও গউড়ে। সাওয়ান্তের নেতৃত্বাধীন এবারের মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ বলতে গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রবি নায়েক, প্রাক্তন মন্ত্রী রোহন খউন্তে ও পানাজির বিধায়ক আতানাসিও 'বাবুশ' মনসেরেট। তাঁর স্ত্রী এবং তালেইগোর বিধায়ক জেনিফার মনসেরেট গোয়ার গত মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। এর মধ্যে সাওয়ান্ত আর রানে মারাঠা সম্প্রদায়ের। আর, নায়েক নিজে ভান্ডারি সম্প্রদায়ের জনপ্রতিনিধি। এই ভান্ডারিরাই গোয়ার হিন্দুদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ। সম্প্রদায়গত দিক থেকে গোদিনহো, কাবরাল এবং মনসেরেট ক্যাথলিক। গউড়ে তফশিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের। আর, খউন্তে গৌড়সারস্বত সম্প্রদায়ের ব্রাহ্মণ।
এই বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন নায়েক। খউন্তে এবং গউড়ে গত বিধানসভায় নির্দল বিধায়ক ছিলেন। তাঁরা দু'জনেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেন। সোমবার শপথ অনুষ্ঠানকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে বিজেপি নেতা-কর্মীরা নাকাড়া থেকে বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র নিয়ে এসেছিলেন। এবারের গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ৪০ আসনের মধ্যে ২০টি জিতেছে। ২০১৯ সালে গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পারিকরের মৃত্যু হয়। তারপর কার্যত টালমাটাল হয়ে ওঠা গোয়ার রাজনৈতিক রাশ সামলান সাওয়ান্ত। এবার বিধানসভা নির্বাচনে তাই সাওয়ান্তকেই গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী করল বিজেপি।