জল্পনার অবসান, এখনই রাজনৈতিক দল ঘোষণা করছেন না ভোট-কুশলী প্রশান্ত কিশোর। আপাতত বিহারে ৩ হাজার কিমি পদযাত্রার কর্মসূচি ঘোষণা করলেন পিকে। বৃহস্পতিবার একটি সাংবাদিক সম্মেলনে পিকে জানান, তিনি নিজের আগের ঘোষণা মতোই বিহারের মানুষের জন্য কাজ করবেন। গান্ধিজয়ন্তীর দিন থেকে তিনি গোটা বিহার ঘুরবেন। সমস্ত মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের অভাব-অভিযোগ শুনবেন।
পিকে এদিন জানিয়েছেন, এখন বিহারে কোনও নির্বাচন না থাকলেও রাজনৈতিক দল গঠন নিয়ে এখনই কিছু তাঁর ভাবনায় নেই। আর রাজনৈতিক দল তৈরি হলেও তাঁর নামে তিনি করবেন না। বরং কেউ তৈরি করলে তাঁর সঙ্গে তিনি কাজ করবেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কংগ্রেসের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ভোট-কুশলী। কংগ্রেস তাঁকে যোগ দিতে বলেছিল। কিন্তু দেশের শতাব্দী প্রাচীন দলের প্রস্তাব ফিরিয়ে তিনি বলেন, কংগ্রেসের নেতৃত্বে বদল দরকার। দলেও অনেক সংস্কারের প্রয়োজন আছে বলে প্রকাশ্যে জানান প্রশান্ত কিশোর।
আরও পড়ুন পাটনারই প্রশান্ত কিশোর, তবুও বিহারের রাজনীতির দ্বিতীয় ইনিংসে ভোট-কূশলীর রাস্তা কঠিন
উল্লেখ্য, গত সোমবার টুইটে প্রশান্ত কিশোর লিখেছেন, ‘গণতন্ত্রে অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণকারী হতে এবং জনগণের পক্ষে নীতি গঠনে সহায়তা করার জন্য আমার অনুসন্ধান গত ১০ বছরে রোলারকোস্টার রাইডের মতো পরিচালিত হয়েছে! এবার পাতা উল্টানোর সময়। উল্টানোর সঙ্গে সঙ্গে, প্রকৃত ঈশ্বরের কাছে যাওয়ার সময়, জনগণ, গণতন্ত্রকে আরও কাছ থেকে বোঝার সময় এসেছে। যার জন্যই জন সূরজ- মানুষের সুশাসন শুরু #বিহার থেকে।’
সম্ভবত প্রশান্ত কিশোরের দলের নাম হতে পারে ‘জন সূরজ’। এবং বিহার থেকেই তার যাত্রা শুরু পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, এর আগে বিহারের সাসক জোটের শরিক নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেডের পদাধিকারীও ছিলেন এই ভোটকুশলী। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে জেডিইউ-তে যোগদান করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। পরে তাঁকে “শৃঙ্খলাভঙ্গের” জন্য দল থেকে বহিষ্কার করেন নীতীশ। তবে জল্পনা উস্কে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন কিশোর।