রাজনৈতিক ডামাডোল অব্যাহত পুদুচেরিতে। মঙ্গলবার দ্বিতীয় বিধায়ক দল থেকে ইস্তফা দিতেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় কংগ্রেস সরকার। কিন্তু নাটকের এখানেই শেষ নয়, ওইদিন রাতেই উপরাজ্যপাল পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল কিরণ বেদিকে। উপরাজ্যপালের সঙ্গে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনের সংঘাত দীর্ঘদিনের। আচমকাই তাঁকে সরিয়ে দেয় কেন্দ্র। তাঁর জায়গায় তেলেঙ্গানার রাজ্যপাল তামিলিসাই সৌন্দরারাজন দায়িত্ব সামলাবেন। তিনি আবার তামিলনাড়ু বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি।
এদিকে, পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী 'অপারেশন লোটাসের' অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির দিকে। ভোটের মুখে ক্ষমতাসীন সরকার ফেলার চেষ্টা করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এমনটাই অভিযোগ তাঁর। কংগ্রেস-ডিএমকের জোট সরকার এবং বিরোধী এআইএডিএমকে-বিজেপি দুই পক্ষেরই এখন ১৪ জন করে বিধায়ক রয়েছে বিধানসভায়। একের পর এক বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকার। মঙ্গলবারই সরকার ভাঙার দাবি জানিয়েছে বিরোধীরা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজনীয় সমর্থন তাঁর সঙ্গে আছ।
প্রসঙ্গত, গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকেই পুদুচেরি বিধানসভায় কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ক্রমশই কমেছে। জন কুমারের পদত্যাগের পর মোট ৪ জন বিধায়ক কংগ্রেসের ক্যাবিনেট ছেড়ে বেরিয়ে যান। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস পুদুচেরিতে ৩০ টি আসনের মধ্যে ১৫ টি আসন দখল করেছিল। জোটসঙ্গী ডিএমকে পেয়েছিল ৪ টি আর এক নির্দল তাদের সমর্থন করেছিল।
উল্লেখ্য, কংগ্রেসের তরফে ভি নারায়নস্বামী সরকার গঠন করেন। তবে শুরু থেকেই তাঁর অভিযোগ ছিল, উপরাজ্যপাল তাঁকে কাজ করতে দিচ্ছেন না। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী উপরাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। তাঁকে স্মারকলিপিও দেন। মুখ্যমন্ত্রী নারায়নস্বামী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, তিনি রাষ্ট্রপতির সাক্ষাৎপ্রার্থী কেন না উপরাজ্যপাল কিরণ বেদি প্রতি পদক্ষেপে কাজে বাধা দিচ্ছেন। মঙ্গলবার রাতে কিরণ বেদিকে দায়িত্ব থেকে সরাতে আরও জটিলতা বাড়ল কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন