''বিধানসভার কাজ পণ্ড করে দেওয়াটা একটা গর্বের বিষয় বলে মনে করেন বিরোধীরা, এটা গণতান্ত্রিক একটি চেতনা নয়''। মঙ্গলবার পঞ্জাব বিধানসভায় আস্থা প্রস্তাব পেশ করে এমনই মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ভাগবন্ত মান। পঞ্জাব বিধানসভায় মানের পেশ করা আস্থা প্রস্তাবের উপর ভোট হবে আগামী ৩ অক্টোবর। এদিন এমনই জানিয়েছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ।
মঙ্গবলবার পঞ্জাব বিধানসভা কার্যক্রম শুরুর পর থেকে তুমুল বিক্ষোভ জুড়ে দেন কংগ্রেসের বিধায়করা। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা। শেষমেশ বিক্ষোভকারী কংগ্রেস বিধায়কদের সাসপেন্ড করেন অধ্যক্ষ। মঙ্গলবার গোটা বিধানসভার অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয় কংগ্রেস বিধায়কদের। এদিন কংগ্রেস বিধায়কদের প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''আমাদের বিধায়কদের কেনার চেষ্টা চলছে। আমরা ভেবেছিলাম এই প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে কংগ্রেস আমাদের পাশে থাকবে। যাই হোক, তারা বিধানসভার কাজ করতে না দিয়ে অপারেশন লোটাসকেই সমর্থন করছে বলে মনে হচ্ছে।''
আরও পড়ুন- বিজেপি নেত্রীর বিরুদ্ধে ভুয়ো ও বিভেদমূলক খবর ছড়ানোর অভিযোগ দায়ের
'অপারেশন লোটাস' শব্দটি মূলত বিজেপি বিরোধী দলগুলিই ব্যবহার করে। গেরুয়া দলের বিরুদ্ধে প্রায়ই অন্য দলের বিধায়কদের 'কিনে নেওয়ার' অভিযোগ ওঠে, সেই প্রচেষ্টাকেই বিরোধীরা 'অপারেশন লোটাস' বলে কটাক্ষ করেন। পঞ্জাবেও আপ বিধায়কদের কেনার ফন্দি এঁটেছিল বিজেপি, এমনই গুরুতর অভিযোগ এনেছেন মান। তিনি বলেন, ''পাঞ্জাবে, তারা (বিজেপি) আমাদের বিধায়কদের ডেকে তাঁদের দাম জিজ্ঞাসা করছিল। কেন সব জায়গাতেই ওদেরই সরকার হবে?''
দলের বিধায়কদের প্রতি সম্পূর্ণ আস্থাশীল মান। আপ বিধায়কদের একজোট হওয়ার বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, ''আমাদের বিধায়করা বাজারে বিক্রির জন্য উপলব্ধ নয়। এজন্য আমরা আস্থা প্রস্তাব পেশ করেছি। শুধু এটাই দেখাতে চাই, যে আমাদের বিধায়কদের প্রতি আমার সম্পূর্ণ আস্থা আছে। আমাদের আস্থা প্রস্তাব পেশ করতেই হতো, কারণ বিজেপি বিশ্বাস কিনতে শুরু করেছে।"