শপথ নেওয়ার পরই জানিয়ে দিয়েছিলেন, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পালন করবেন। পঞ্জাবে এতদিন রাজনৈতিক দলগুলো যেভাবে শুধু নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করেছে, সেই পথে হাঁটবেন না। সেইমতো কাজও শুরু করে দিয়েছেন পঞ্জাবে আম আদমি পার্টির প্রথম মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। প্রতিশ্রুতি পূরণের পথে হেঁটে শুক্রবার তিনি এক বড় ঘোষণা করেন। মান জানান, প্রাক্তন বিধায়কদের জন্য এতদিন ধরে চালু থাকা বিবিধ পেনশনের নীতি তিনি বদলাচ্ছেন। এখন থেকে পঞ্জাবের প্রাক্তন বিধায়করা স্রেফ একটাই পেনশন পাবেন। তাতে পাঁচ বছরে আশি কোটি টাকা বাঁচবে। বর্তমানে পঞ্জাবে প্রাক্তন বিধায়কদের মাসিক পেনশন ৭০ হাজার টাকা।
ভিডিওবার্তায় মান জানিয়েছেন, তিনি এক বিধায়ক এক পেনশন নীতি চালু করতে চান। তিনি জানিয়েছেন, যে বিধায়করা বহুবার নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁর কয়েক লক্ষ টাকা পেনশন পান। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন সাংসদও হয়েছেন। তাঁরা বিধায়ক পেনশনের পাশাপাশি সাংসদ হিসেবেও পেনশন পেয়ে থাকেন। সেকথা মাথায় রেখেই প্রাক্তন বিধায়কদের পেনশনের ব্যাপারটি তিনি যুক্তিসম্মত করতে চাইছেন। শুধু বিধায়করাই নন। তাঁদের অবর্তমানে ফ্যামিলি পেনশন গ্রহীতাদের ক্ষেত্রেও একই যুক্তিসম্মত নীতি চালু করা হবে বলেই জানিয়েছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী।
তাঁর আড়াই মিনিটের ভিডিওবার্তায় মান রীতিমতো জনগণের মন জয় করে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যখন কোনও প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তখন জনগণের সেবা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েই ভোট চান। সেভাবেই বিধায়করাও নির্বাচিত হন। সেই বিধায়করাই এখন কেউ মাসে সাড়ে তিন লক্ষ, কেউ সাড়ে চার লক্ষ এমনকী পাঁচ লক্ষ টাকারও বেশি পেনশন পাচ্ছেন। কিন্তু, জনগণের আর্থিক অবস্থা দিনকে দিন খারাপ হয়েছে এবং হচ্ছে। সেই কারণে, জনগণের করের টাকা বা সরকারের টাকা তিনি সঠিক কাজে খরচ করতে চান। এজন্যই বিধায়ক পেনশন প্রকল্পে রদবদল আনছেন। এতে পাঁচ বছরে ৮০ কোটি টাকা বাঁচবে। এই অর্থের পুরোটাই জনগণের উন্নয়নের জন্য ব্যয় করা হবে।
পঞ্জাবের জনগণের জন্য ভগবন্ত মান নতুন কিছু করতে চাইছেন, এটা এখন পঞ্চনদের রাজ্যের বিরোধীরাও কার্যত স্বীকার করে নিতে শুরু করেছেন। কিছুদিন আগেই পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিং বাদল সরকারকে চিঠি লিখেছিলেন। চিঠিতে তিনি জানিয়েছিলেন, সরকারের থেকে কোনও পেনশন চাননি। সরকারেরও তাঁকে পেনশন দেওয়ার কোনও দরকার নেই। সেই অর্থ সরকার বরং জনস্বার্থে খরচ করুক, এটাই তিনি চান বলেই জানিয়েছিলেন বাদল।
Read story in English