কংগ্রেস ছাড়লেন পাঞ্জাবের প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি সুনীল জাখর। শনিবার দুপুরে ফেসবুক লাইভ করে হাত শিবিরের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন জাখর। ইস্তফার ঘোষণার সময়, আগামির জন্য কংগ্রেস নেতৃত্বকে 'শুভকামনা' জানিয়ে 'বিদায়' বলেছেন তিনি। এই ফেসবুক লাইভের নাম দিয়েছিলেন, 'মন কি বাত'।
Advertisment
ইতিমধ্যেই টুইটারের বায়ো থেকে তাঁর কভার পিকচার সরিয়ে দিয়েছেন জাখর। কংগ্রেসের পতাকার বদলে সেখানে জ্বলজ্বল করছে দেশের জাতীয় পতাকার ছবি।
পাঞ্জাব বিধানসভা ভোটে ধরাশায়ী হয়েছে কংগ্রেস। এর দায় কার? তা নিয়েই দলের অন্দরে নানা বিশ্লেষণ চলছে। কংগ্রেস শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির নজরে ভিলেন হয়ে দাঁড়ান দলের প্রদেশ সভাপতি সুনীল জাখর। তাঁকে জবাবদিহি করতে বলেছিল কমিটি। কিন্তু, জবাবদিহি তো দূর, উল্টে কংগ্রেস নেতাদের সমালোচনা করেন তিনি। জানান, দলের নেতৃত্ব সাম্প্রদায়িক ধারণার বশবর্তী হয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে ও নেতা বেছে নিচ্ছে। জাখরের সেই মন্তব্য 'অবমাননাকর' বলেই মনে করেছিল হাইকম্যান্ড।
এরপরই দলের সমস্ত সাংগঠনিক পদ থেকে তিনবারের বিধায়ক ও একবারের সাংসদকে সরিয়ে দেয় হাইকম্যান্ড। যা শাস্তিমূলক পদক্ষেপ বলে মনে করা হয়। এরপর থেকেই কংগ্রেসের উপর মনোক্ষুন্ন হয়েছিলেন সুনীল। এসবের মধ্যেই কংগ্রেস সাংসদ অম্বিকা সোনির সঙ্গে প্রকাশ্যে মতবিরোধ হয় সুনীল জাখরের। সবমিলিয়ে কংগ্রেস-জাখর বিচ্ছেদ কবে হবে তা নিয়ে নানা জল্পনা চলছিল।
এরমধ্যেই শুক্রবার থেকে রাজস্থানের জয়পুরে শুরু হয়েছে কংগ্রেসের চিন্তন শিবির। দলকে পোক্ত করে একাধিক বড় পদক্ষেপ করা হতে পারে বলে অনুমান। সেই সময়ের দীর্ঘদিনের কংগ্রেসী এই নেতার দলত্যাগ হাত শিবিরের কাছে ধাক্কা বলেই মনে করা হচ্ছে।
মনে কথা বললেন সুনীল জাখর। কংগ্রেস ছাড়লেন। এবার তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যত বা গন্তব্য কী? মনের কথায় তা নিয়ে কোনও কিছু জানাননি পোড় খাওয়া জাখর। কিন্তু, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মনের কথা ফেসবুক লাইভে বলে কার্যত একদা বিরোধী পক্ষ পদ্ম শিবিরকে কৌশলে বার্তা দিয়েছেন কংগ্রেসের পাঞ্জাবের প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি।