/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/12/rahul-modi.jpg)
আবারও রাহুল গান্ধীর নিশানায় নরেন্দ্র মোদী।
দেশে ক্রমবর্দ্ধমান বিদ্যুৎ সংকট ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। প্রধানমন্ত্রী নানা ইস্যুতে কারও না-কারও ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেন। এই অভিযোগ তুলে দেশে বিদ্যুৎ সংকটের ইস্যু সামনে আনেন কংগ্রেস নেতা। তাঁর কটাক্ষ, এই ক্রমবর্দ্ধমান বিদ্যুৎ সংকটের জন্য প্রধানমন্ত্রী কাকে দায়ী করবেন- জওহরলাল নেহেরু, রাজ্য সরকার নাকি দেশের জনগণকে? এই প্রসঙ্গে রাহুল হিন্দিতে টুইট করেছেন, 'প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি এবং উদ্দেশ্য সবসময়ই বিচ্ছিন্ন থেকেছে। মোদীজি, এই বিদ্যুৎ সংকটে আপনার ব্যর্থতার জন্য কাকে দায়ী করবেন? নেহেরুজি নাকি রাজ্য নাকি জনগণকে?'
প্রধানমন্ত্রীর একটি বক্তৃতার ভিডিও পোস্ট করেছেন রাহুল। ২০১৫ সালে ওই বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদীর অতীতের বক্তৃতা দেখানো একটি ভিডিও-ও ট্যাগ করেছেন এবং তারপর ২০১৭ সালে দাবি করেছিলেন যে বিদ্যুৎ আর কয়লা সংকট মিটে গিয়েছে।
प्रधानमंत्री जी के ‘वादों’ और ‘इरादों’ के बीच का तार तो हमेशा से ही कटा था।
मोदी जी, इस बिजली संकट में आप अपनी नाकामी के लिए किसे दोष देंगे?
नेहरू जी को? राज्य सरकारों को? या फिर जनता को ही? pic.twitter.com/fNDMz6rMt1— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) April 30, 2022
রাহুলের পোস্ট করা প্রায় এক মিনিটের ভিডিও ক্লিপটিতে দেশের বর্তমান বিদ্যুৎ সংকটের খবরগুলো তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে একজন ব্যবসায়ীকে বলতে শোনা গিয়েছে যে তিনি দিনভর পরিশ্রমের পরও রাতে ঘুমোতে পারেন না। দেশের বৃহৎ অংশ দীর্ঘ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতার সমস্যায় হামেশাই ভুগছে। শুক্রবারই এই অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের অপশাসন এবং অব্যবস্থাপনার জন্যই জ্বলন্ত গ্রীষ্মে 'কৃত্রিম' বিদ্যুৎ সংকটের মুখে পড়তে হয়েছে দেশবাসীকে। কংগ্রেসের অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার সারা দেশে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোয় কয়লা বিতরণের জন্য প্রয়োজনীয় যানবাহনের সহায়তা দিচ্ছে না। তার ফলেই দেশে বিদ্যুৎ সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।
অবশ্য কংগ্রেস এই অভিযোগ করলেও, কয়লা নিয়ে কংগ্রেসের ভূমিকাও মোটেও সন্তোষজনক নয়। মনমোহন সিংয়ের জমানায় কয়লা খনিগুলো শিল্পপতিদের হাতে বিলিয়ে দেওয়ার জন্য চেষ্টা হয়েছিল। এই নিয়ে ব্যাপক আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠে। এমনকী, তাতে খোদ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের নামও জড়িয় যায়। অভিযোগ, জড়িয়ে পড়েছিলেন তাঁর প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরাও।
Read in English