ভারত জোড়ো যাত্রার সময় রাহুল গান্দীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রস্ন তুলেছিল কংগ্রেস। পাল্টা সিআরপিএফ দাবি করেছিল যে, গত দু'বছরে ওয়ানাডের সাংসদ ১১৩ বার প্রোটোকল লঙ্ঘন করেছেন। যা নিয়ে বিজেপি-কংগ্রেস টানাপোড়েন চলছে। এর মধ্যেই নিজের নিরাপত্তা ইস্যুতে শনিবার মুখ খুললেন খোদ রাহল। তাঁর অভিযোগ, প্রোটোকল বিজেপির একাধিক নেতা ভাঙলেও তাঁদের কাছে নিরাপত্তা সংস্থার কোনও চিঠি যায় না।
নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ভারত জোড়ো যাত্রার সময় তাঁকে বুলেটপ্রুফ গাড়িতে ঢুকিয়ে দিতে চায় বলে দাবি করেছেন রাহুল গান্ধী। যা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে সাফ জানিয়েছেন তিনি। রাহুলের কথায়, 'আমি ভারত জোড়ো যাত্রা করছি। সরকার চায় আমি বুলেটপ্রুফ গাড়িতে এই যাত্রা করি। তারা বলছে একটা প্রটোকল আছে…তাই তাদের ঝামেলা না ফেলার জন্য। আমায় বুলেটপ্রুফ গাড়িতে বসিয়ে কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর যাত্রা করতে বলা হয়। যদিও সেটা আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। আপনারাই আমাকে বলুন আমি কীভাবে বুলেটপ্রুফ গাড়িতে বসে যাত্রা করতে পারি?'
রাহুলের পাল্টা যুক্তি, 'বিজেপির নেতারা রোড শো করেছেন, খোলা জীপে যাতায়াত করেছেন। এটাও তো নিরাপত্তা সংস্থার নিজস্ব প্রটোকলের বিরুদ্ধে। কিন্তু আমাকে বলা হল যে আপনি বুলেটপ্রুফ গাড়ি থেকে নেমেছেন। সুতরাং, তাদের এবং আমার জন্য প্রোটোকল আলাদা। সমস্ত সিআরপিএফ কর্মী, সিনিয়র অফিসাররা জানে আমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাদের কী করা উচিত। বুলেটপ্রুফ গাড়িতে কিভাবে যাত্রা করব? আমাদের ভারত জোড়ো যাত্রায় হাঁটতে হবে। তাই সম্ভবত ওরা আমাকে রুখতে এখন এইসব নিরাপত্তার বাহানা দিচ্ছে।'
উল্লেখ্য, রাহুল গান্ধীর ‘নিরাপত্তা’ নিয়ে কংগ্রেসের তরফে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেনুগোপাল চিঠিতে অভিযোগ করেন, ২৪ ডিসেম্বর দিল্লিতে ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রার সময় রাহুল গান্ধীর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় দিল্লি পুলিশের বড়সড় ত্রুটি চোখে পড়ে। সেই সঙ্গে রাহুলের নিরাপত্তা বাড়ানোরও দাবি জানানো হয়।
জবাবে নিরাপত্তা সংস্থা জানায়, নিরাপত্তার ক্ষেত্রে দিল্লি পুলিশ কঠোরভাবে প্রোটোকল অনুসরণ করেছিল এবং পর্যাপ্ত সংখ্যক নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল। পাশাপাশি এটাও বলা হয়েছে যে রাহুল গান্ধী নিজেই অনেক ক্ষেত্রে ‘নিরাপত্তা নির্দেশিকা’ লঙ্ঘন করেছেন। এ বিষয়ে তাকে একাধিকবার জানানোও হয়েছে। ২০২০ থেকে এখন পর্যন্ত, ১১৩ টি এই ধরনের লঙ্ঘনের নজির রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। সেগুলি সম্পর্কে রাহুল গান্ধীকে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়।