নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুর নাইট ক্লাবে রাহুল গান্ধী। মঙ্গলবার নিজের টুইটার পোস্টে সেই ভিডিও প্রকাশ করেছেন বিজেরি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। ভিডিটিতে দেখা যাচ্ছে যে, একটি ফ্লোরে নানা রঙের আলো খেলা। সজোরে বাজচ্ছে ডিজে। তারমধ্যেই স্পষ্ট রাহুল গান্ধীর মুখ। তাঁর পাশে এক তরুণী। পানীয়ের বোতলে মুখ তাঁর। যা নিয়ে জোরদার চর্চা চলে। শেষ পর্যন্ত রাহুলের বিদেশ সফর নিয়ে মুখ খুলল কংগ্রেস নেতৃত্ব।
অমিত মালব্য একটি ভিডিও ক্লিপ টুইটারে পোস্ট করে লিখেছেন, 'মুম্বই যখন অবরুদ্ধ তখন নাইট ক্লাবে রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস দলে যখন একের পর এক বিস্ফোরণ তখন তিনি নাইট ক্লাবে। এ ব্যাপারে রাহুল গান্ধীর ধারাবাহিকতার জুড়ি মেলা ভার। কংগ্রেস তাঁদের নেতৃত্ব আউটসোর্স করতে চায়নি। তারপরই এই কাজ শুরু হয়েছে।'
মালব্যের টুইটের প্রেক্ষিতে কংগ্রেস ও রাহুল-কে নিশানা করে গেরুয়া নেতৃত্বের একের পর এক পোস্ট
নজরে পড়ে।
কিন্তু, রাহুল গান্ধী কি সত্যিই বিদেশে? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে কংগ্রেস মুখপাত্র মণীশ তিওয়ারি বলেছেন, 'রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী মোদীর মত আমন্ত্রিত না হয়েও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নাওজ শরিফের জন্মদিন উদযাপন ও কেক কাটতে যাননি। রাহুল গান্ধী তাঁর বন্ধুর বিয়ে- এক ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বন্ধুপ্রিয় দেশ নেপালে গিয়েছেন। কাকতালীয়ভাবে সেই বন্ধুও এক সাংবাদিক। তাই আমি মনে তাঁরা (বিজেপি নেতৃত্ব) আপনাদের পেসার বন্ধুকেই অপমান করছেন।'
প্রধানমন্ত্রী মোদী পাকিস্তানে জন্মদিন উদযাপন করতে এবং তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের কেক কাটার মতো রাহুল গান্ধী অনামন্ত্রিত অতিথি হিসাবে যাননি। রাহুল গান্ধী বন্ধুর এক ব্যক্তিগত বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বন্ধুপ্রিয় দেশ নেপালে গেছেন। দৈবক্রমে বন্ধুটিও সাংবাদিক হয়ে যায়। তাই আমি মনে করি তারাও আপনার ভ্রাতৃত্বের অপব্যবহার করছে।'
মালব্যর ওই টুইটের পাল্টা নেপালের খবরের কাগজ দ্য কাঠমাণ্ডু পোস্টের একটি কাটিং পোস্ট করেছে কংগ্রেস। তাতে লেখা রয়েছে, রাহুল যোগ দিয়েছিলেন নেপালের নকশালের ম্যারিয়ট হোটেলে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে। তাঁর বন্ধু সুমনিমা উদাসের বিয়েতে গিয়েছিলেন। ওই প্রতিবেদনে সুমনিমার বাবা ভীম উদাসের বক্তব্যও রয়েছে।
মণীশ বলেছেন, 'বিয়ের মতো অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হলে তাতে যোগদান আমাদের সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে। এই দেশে বিয়ে করা, কারোর সঙ্গে বন্ধুত্ব করা বা তাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া এখনও অপরাধ হয়ে ওঠেনি।'
শীর্ষ কংগ্রেস নেতা তিওয়ারির কটাক্ষ, 'হয়তো আজকের পরে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং বিজেপি সিদ্ধান্ত নিতে পারে যে বিয়েতে যাওয়া বেআইনি। তাঁরা বলতে পারে, বন্ধু থাকা বা পারিবারিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা অপরাধ। কিন্তু আমাকে জানাবেন যাতে আমরা সবাই আমাদের স্ট্যাটাস, অভ্যাস এবং বন্ধুদের বিয়েতে পরিবারের সঙ্গে যোগ দেওয়ার সভ্যতাগত অভ্যাস পরিবর্তন করি।'
Read in English