ভারতকে জুড়তে 'ভারত জোড়ো যাত্রা' করছেন রাহুল গান্ধী। ছড়িয়ে দিচ্ছেন সম্প্রীতির বার্তা। শনিবার সকালে হরিয়ানার বদরপুর সীমান্ত দিয়ে দিল্লিতে প্রবেশ করেছিল রাহুলের নেতৃত্বে 'ভারত জোড়ো যাত্রা'। রাজধানীতে ঢুকতেই এই যাত্রাকে স্বাগত জানান দিল্লির কংগ্রেস প্রধান অনিল চৌধুরী। এ দিনই ১০০ দিনে ছুঁয়েছে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বাধীন ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। আর শততম দিনেই সেই যাত্রায় যোগ দিয়েছে মা সনিয়া গান্ধী ও বোন প্রিয়াঙ্কা। স্বাভাবিকভাবেই আবেগঘন ওয়ানাড়ের সাংসদ।
এ দিন মা সনিয়ার গান্ধীর সঙ্গে টুইটারে ছবি পোস্ট করেছেন রাহুল গান্ধী। মা সনিয়াকে ড়িয়ে ধরেছেন ৪৭য়ের রাহুল। মুখে স্মীত হাসি। হাসছেন সনিয়াও। লিখেছেন 'ওঁর থেকে যে ভালবাসা পেয়েছি, তাই দেশকে বিলোচ্ছি।'
হাজার হাজার পথ হাঁটছেন রাহল। সকালে দিল্লিতে প্রবেশের পর যাত্রা আশ্রমে তিন ঘণ্টা বিশ্রাম নেয়। পরে লালকেল্লার উদ্দেশে রওনা দেয়। নিজামুদ্দিন, ইন্ডিয়া গেট, আইটিও, দিল্লি গেট এবং দরিয়াগঞ্জ হয়ে যাত্রা পৌঁছয় লালকেল্লায়। সেখানে বিশেষ কর্মসূচির পর ভাষণ দেন রাহল। ৯ দিনের বিরতির পর ফের ৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে 'ভারত জোড়ো যাত্রা'।
দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে কংগ্রেস সমর্থকদের সম্বোধন করে রাহুল গান্ধী বলেছেন, 'এই যাত্রায় কোনও ঘৃণা) নেই। যাত্রার প্রকৃত উদ্দেশ্য হল প্রকৃত হিন্দুস্তান তুলে ধরা, আরএসএস এবং বিজেপির ঘৃণার পরিবর্তে যেখানে মানুষ একে অপরকে সাহায্য করে।'
উল্লেখ্য, নতুন করে করোনা আতঙ্কের মধ্যেই সংক্রমণ রোধে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ বন্ধের অনুরোধ জানিয়ে রাহুলকে চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে এবং দেশকে অতিমারি থেকে রক্ষার জন্য ভারত জোড়ো যাত্রা স্থগিত রাখার অনুরোধ করেন তিনি। পাল্টা রাহুলের তোপ, যাত্রায় মানুষের সমর্থনকে ভয় পেয়েই তা বন্ধ করোনাকে ঢাল করতে মরিয়া বিজেপি।