শান্তির পথে মতি ফিরল রাজ ঠাকরের। ইদের আবহে তিনি মহারাষ্ট্রে সামাজিক উত্তেজনা চান না। সেই জন্য 'মহা আরতি' বাতিলের কথা ঘোষণা করলেন। আগে, ৩ মে 'মহা আরতি' কর্মসূচি হবে বলে ঘোষণা করেছিল মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা। সোমবার ইদের কথা মাথায় রেখে রাজ ঠাকরে তাঁর সমর্থকদের ওই দিন কর্মসূচি পালন না-করতে আবেদন জানান। সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজের এই আবেদন মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলে রীতিমতো জল্পনার জন্ম দিয়েছে। কারণ, একদিন আগেই রাজ মহারাষ্ট্রের মসজিদগুলো থেকে লাউডস্পিকার সরানোর জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, ৪ মে-এর পর আর মহারাষ্ট্রের মসজিদগুলোয় লাউডস্পিকার বেঁধে রাখা যাবে না।
গত মাসে মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার নেতা বালা নন্দগাঁওকর 'মহা আরতি' কর্মসূচির ঘোষণা করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর দল এজন্য মহারাষ্ট্র পুলিশের থেকে অনুমতি নেবে। পুলিশের নির্দেশ মেনেই 'মহা আরতি' কর্মসূচি পালন করবে। তার পর গত রবিবার মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার প্রধান রাজ ঠাকরে জানান, ৪ মে-এর মধ্যে মসজিদের ওপর থেকে লাউডস্পিকারগুলো খুলে নিতে হবে। মহারাষ্ট্র সরকার তা করতে না-পারলে, তাঁরাও মসজিদের সামনে আজান দেওয়ার চেয়েও তারস্বরে হনুমান চালিশা বাজাবেন।
আরও পড়ুন- ‘কাশ্মীরকে সোজা করেছেন-এবার বাংলাকে ভয়মুক্ত করবেন’, শাহী হুঙ্কার শুভেন্দুর
ঔরঙ্গাবাদের ভিড়ে ঠাসা মারাথওয়াড়া সামাজিক মণ্ডল মাঠে রাজ ঠাকরে তাঁর সমর্থকদের বলেছিলেন, মসজিদ থেকে লাউডস্পিকারগুলো খুলে নিতে হবে। এজন্য মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার নেতা-কর্মীদের ভয় পেলে চলবে না। মসজিদ থেকে লাউডস্পিকার খুলে দেওয়ার ব্যাপারে তিনি মারাঠাওয়াড়া এবং বিদর্ভে শীঘ্রই বেশ কয়েকটি সভা করবেন বলেই জানিয়েছিলেন রাজ। একইসঙ্গে তিনি বলেন, 'যদি মসজিদ থেকে ভেসে আসা আজানের জেরে অসুবিধা ভোগ করেন, তবে মসজিদের বাইরে জোরে হনুমান চালিশা চালিয়ে দিন। আমি মহারাষ্ট্রে দাঙ্গা চাই না। মুসলিমদেরও সেটা ভালো করে বোঝা উচিত। এর আগে আমি বলেছি যে লাউডস্পিকার ধর্মীয় বিষয় নয়। এটি একটি সামাজিক বিষয়। যদি আপনারা লাউডস্পিকারের ব্যাপারটিকে ধর্মীয় চেহারা দিতে চান, তবে আমার ধর্মের রাস্তাতেই তার জবাব দেব।'
Read story in English