চরম বিপত্তি। নতুন বাজেট পড়ার তখন মিনিট সাতেক হয়ে গিয়েছে। গড়গড়ি বাজেট পড়ে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাঠ হয়েছে শহরতলির কর্মসংস্থান ও কৃষিবাজেট। এরপরই এক সরকারি আধিকারিক এসে কী যেন বললেন মুখ্যমন্ত্রীকে। বাজেট পড়া থামালেন বর্ষীয়ান গেহলট। মুখে অস্বস্তির হাসি। তারপরই বললেন 'সরি'। হইহই করে উঠলেন বিরোধী বিজেপি বিধায়করা। চেঁচিয়ে উঠে বিজেপি বিধায়করা বলতে থাকেন, গতবছরের বাজেটপত্রই পড়ছেন মুখ্যমন্ত্রী গেহলট!
এসবের মধ্যেই বিধানসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান বিরোধী বিধায়করা। তোলপাড় হয় সভাকক্ষ। 'বাজেট লিক' হয়ে গিয়েছে বলে স্লোগান তোলেন তারা। বিধানসভার স্পিকার সিপি জোশী বিধানসভায় শৃঙ্খলা বজায় রাখার অনুরোধ জানালেও কাজেক কাজ হয়নি। বিরোধীরা বিক্ষোভ চালিয়ে যান। আধ ঘণ্টার জন্যমুলতুবি করে দেওয়া হয় বিধানসভা। পরে ফের বাজেট অধিবেশন শুরু হলেও বিজেপি বিধায়করা ফের ওয়েলে বসে বিক্ষোভ দেখান। শেষে অধিবেশন বাতিল করে দিতে হয়।
কেন ভুল বাজেট পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহল? কীভাবে গত বছরের বাজেট পত্র বিধানসভায় এলো? সেনিয়ে স্পষ্ট করে এখনও কিছু জানানো হয়নি। মুখ খোলেনি কংগ্রেস। তবে কংগ্রেসের তরফেও এই বিষয়ে কোনও সাফাই দেওয়া হয়নি।
পাস্টা রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে বলেছেন, 'একজন মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় বাজেটপত্র না দেখে, না পড়েই চলে এসেছেন। এতেই বোঝা যায় তিনি কীভাবে রাজ্য চালাচ্ছেন। এই রাজ্যকে অবশ্যই ভোগান্তি পোহাতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী সাত মিনিটের বেশি সময় ধরে ভুল বাজেট পড়ে গেলেন। ইতিহাসে এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটল। আমিও মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম। দুই থেকে তিনবার বাজেট পড়েছি। প্রত্যেকবারই আমি যাবতীয় নথি দেখে নিয়ে তাকি বাজেটপত্র হাতে নেওয়ার আগে। এমন মুখ্যমন্ত্রীর হাতে রাজ্য কতটা সুরক্ষিত আপনারাই বুঝুন।'