বর্ষাকালীন অধিবেশনে সংসদে এদিন চিনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সরব হবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। জানা গিয়েছে, লাদাখে এলওসি জুড়ে চিনের সামরিক আগ্রাসন নিয়ে বিবৃতি দেবেন তিনি। সেই সঙ্গে বিরোধী দলের নেতাদের প্রশ্নের জবাবও দেবেন।
লাদাখে ইন্দো-চিন সীমান্তের পরিস্থিতি কী, তা খোলসা করে জানাক কেন্দ্রীয় সরকার। এমনটা বহুদিন দাবি করে আসছে বিরোধী নেতারা। এমন অবস্থাতে চিন সীমান্তের যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলতে পারেন রাজনাথ সিং। এমনটাই ওয়াকিবহাল সূত্রের খবর।
আরও খবর: ভারত-চিন সীমান্ত ইস্য়ু অমীমাংসিত: রাজনাথ
এর আগে লাদাখ পরিস্থিতি প্রসঙ্গে লোকসভায় রাজনাথ বলেছিলেন, "সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও সুস্থিতি জারি রাখতে ভারত ও চিন, দু’দেশই চায়। ভারত-চিন সীমান্ত ইস্যু অমীমাংসিত। সীমান্ত নিয়ে চিনের আপত্তি রয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধান বেরোয়নি। আমরা কূটনৈতিক মাধ্যমে চিনকে জানিয়েছি যে স্থিতাবস্থার পর একতরফাভাবে পদক্ষেপ দ্বিপাক্ষিক চুক্তি লঙ্ঘনের শামিল।"
প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেছেন, "প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এলাকায় বিপুল পরিমাণে সেনা মোতায়েন করেছে চিন। গত ১৫ জুন গালওয়ানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আমাদের বীর সৈনিকরা তাঁদের প্রাণ দিয়েছেন এবং চিনের পক্ষেও অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা আশ্বস্ত করতে চাই, যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে আমরা প্রস্তুত। ভারত তার সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষা করবেই।"
বুধবারই রাজনাথ সিং বিরোধী দলগুলির বেশ কিছু শীর্ষ নেতা গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মা, জয়রাম রমেশ, ডেরেক ও'ব্রায়েন, তিরুচি শিবা, রামগোপাল যাদবদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন।
প্রসঙ্গত, বুধবারই বিরোধী দলগুলো কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলধোনা করে সংসদে প্রশ্ন করতে না পারার জন্য। এরপরেই জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধী দলগুলির সঙ্গে উচ্চতর কক্ষে একাধিক ইস্যুতে আলোচনা করতে সহমত হয়েছে, যেমন- রাজ্যগুলিকে জিএসটি ছাড়, জাতীয় শিক্ষা নীতি, আর্থিক বৃদ্ধির অবক্ষয় এবং বেকারত্ব।
সূত্রের খবর, রাজনাথ সিং যে ঘরোয়া বৈঠকে রাজি হয়েছিলেন সেখানে উপস্থিত ছিলেন পীযুষ গয়াল, তাহাওয়ারচাঁদ গেহলত, প্রহ্লাদ জোশি, মুরলিধরণের মত বেশ কিছু কেন্দ্রীয় নেতা। প্রসঙ্গত, গেহলত হলেন রাজ্যসভার কেন্দ্রীয় দলের নেতা।
Read the full article in ENGLISH
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন