অরুণাচলে দল ভাঙার জেরে বিহারে বিজেপি-জেডিইউ জোট সংসারে অশান্তির মেঘ। কয়েকদিন আগেই অরুণাচল প্রদেশে ৬ জন জেডিইউ বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এরপরই হাবেভাবে নিজেদের অসন্তোষের কথা বুঝিয়ে দিয়েছে সংযুক্ত জনতা দল। গতকালই পার্টির সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এবার বিহারে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়ল প্রধান বিরোধী দল রাষ্ট্রীয় জনতা দল। আরজেডি নেতা তথা প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার উদয়নারায়ণ চৌধুরি সোমবার বলেন, নীতীশ যদি পদত্যাগ করে আরজেডির সঙ্গে হাত মেলান এবং তেজস্বী যাদবকে মুখ্যমন্ত্রী করেন তাহলে পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনে নীতীশকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে তুলে ধরা হবে।
বিহারে এই মুহূর্তে জোট সরকার টালমাটাল। সংসারে অশান্তি লেগেছে বিধায়ক ভাঙানো থেকে শুরু করে লাভ জিহাদ আইন নিয়ে। দলের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বর্ষীয়ান নেতা আরসিপি সিংকে পদে বসিয়েছেন নীতীশ। জোটসঙ্গী বিজেপির সঙ্গে এবার সবকিছু নিয়ে সমঝোতা করবেন আরসিপি সিং। এতেই স্পষ্ট ধীরে ধীরে গেরুয়া শিবিরের নাগাল থেকে বেরতে চাইছেন বিরক্ত নীতীশ। তার উপর দলের মুখপাত্র গতকালই জানিয়েছেন, লাভ জিহাদ আইন বিহারে কার্যকর করার বিরুদ্ধে জনতা দল। ধর্মের ভিত্তিতে মানুষের ব্যক্তিগত জীবনে নাপসন্দ নীতীশ তথা দলের।
আরও পড়ুন বিজেপি ছাড়লেন আদিবাসী নেতা, মোদীকে চিঠি লেখার পরই পদত্যাগ
এই পরিস্থিতিতে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রেখেছে লালুর দল। শীর্ষ আরজেডি নেতাদের মতে, বিজেপির কর্তৃত্ব ধীরে ধীরে জোটসঙ্গীর উপর বাড়ছে এতে স্পষ্ট। অরুণাচলে বিধায়ক ভাঙানোর অভিযোগে বিজেপিকে জোটধর্ম পালনের বার্তা দিয়েছে জনতা দল। নীতীশও অস্বস্তি বাড়িয়ে বলেছেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রী হতে চাননি। তাঁর উপর চাপ ছিল বিজেপির। এই অবস্থায় শীর্ষ জেডিইউ নেতারাও বিজেপির উপর বিরক্ত। অনেকেই দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, বিধানসভা নির্বাচনে জেডিইউকে জব্দ করতে চিরাগ পাসওয়ানকে ব্যবহার করেছে বিজেপি, এটা তো জলের মতো পরিষ্কার। চিরাগের দলের জন্যই অনেক আসন কমেছে জনতা দলের। তার উপর অরুণাচলের ঘটনা আরও অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এই অশান্তির আবহেই ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছে আরজেডি।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন