ফের বিতর্কে সাক্ষী মহারাজ, জিহাদি রুখতে হিন্দু বাড়িতে তির-ধনুক রাখতে আহ্বান

উন্নাওয়ের এই বিতর্কিত সাংসদ জিহাদি বলতে কাদের বোঝাচ্ছেন, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন পোস্টে।

উন্নাওয়ের এই বিতর্কিত সাংসদ জিহাদি বলতে কাদের বোঝাচ্ছেন, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন পোস্টে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Sakhi

তিনি মুখ খুললেই বিতর্ক। তিনি মানে সাক্ষী মহারাজ। অতীতে অন্যান্য অভিযোগে জেলও খেটেছেন। অভিযোগ, তবুও তিনি বদলাননি। এবার জিহাদি রুখতে হিন্দুদের বাড়িতে তির-ধনুক রাখার আহ্বান জানালেন। স্বভাবতই, উঠে এসেছেন বিতর্কের পাদপ্রদীপে। এই বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে সাক্ষী মহারাজের এক পোস্ট ঘিরে। রীতিমতো সাম্প্রদায়িক উসকানি দিয়ে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন বলে অভিযোগ। তাতে লিখেছেন, জিহাদিরা হামলা চালালে পুলিশ বাঁচাতে আসবে না। তাই হিন্দুদের ঘরে ঘরে তির-ধনুক রাখা দরকার।

Advertisment

উন্নাওয়ের এই বিতর্কিত সাংসদ জিহাদি বলতে কাদের বোঝাচ্ছেন, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন পোস্টে। লেখার সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে একদল লোক। হাতে লাঠি, মাথায় টুপি। পোস্টে সাক্ষী মহারাজ লিখেছেন, 'যদি এই জনতা আচমকা আপনার গলি বা বাড়িতে চলে আসে, তখন আপনার নিজেকে বাঁচানোর কোনও উপায় আছে? যদি সেই সময়ের জন্য কোনও ব্যবস্থা না-রাখেন? পুলিশ আপনাকে বাঁচাতে আসবে না। তাঁরা নিজেদের বাঁচাতেই কোথাও লুকিয়ে থাকবে।'

সঙ্গে লিখেছেন, 'এই লোকেরা যখন জিহাদ করে ফিরে যাবে, তখনই পুলিশ আসবে। বিষয়টি তদন্ত কমিটির কাছে যাবে। আর, কিছুক্ষণ পর সেখানেই সব শেষ হবে। এই ধরনের অতিথিদের জন্য প্রতিটি বাড়িতে কোল্ড ড্রিঙ্কের কয়েকটা বাক্স এবং কিছু আসল ধনুক এবং তির রাখুন। জয় শ্রী রাম।' ধর্মীয় উসকানি দেওয়ার জন্য কি এই পোস্ট করলেন? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে সাক্ষী মহারাজ জানিয়েছেন, তিনি যেটা বিশ্বাস করেন, সেটাই পোস্ট করেছেন। কিন্তু, এই পোস্টের কি খুব দরকার ছিল? জবাবে পালটা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন উন্নাওয়ের বিজেপি সাংসদ। প্রশ্ন করেছেন, 'হিন্দুরা কি কেবল মার খাওয়ার জন্য আছে?'

আরও পড়ুন- মোদী উপত্যকা ছাড়তেই পুলওয়ামায় রক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে হত ৩ জঙ্গি

Advertisment

বরাবরই বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা সাক্ষী মহারাজ এর আগে ২০১৫ সালে মিরাটের এক জনসমাবেশে মুখ খুলেছিলেন। সেখানে হিন্দু নারীদের ধর্ম রক্ষার জন্য কমপক্ষে চারটি সন্তানের জন্ম দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। সেই বছরই তিনি অভিযোগ করেছিলেন, যে মাদ্রাসাগুলি সন্ত্রাসবাদী তৈরি করছে। তাদের ছাত্রদের 'লাভ জিহাদ' চালাতে উত্সাহিত করছে। সাক্ষী মহারাজের অভিযোগ, সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে মাদ্রাসার পড়ুয়ারা হিন্দু মেয়েদের সঙ্গে প্রেমের ছল করছে। আর, তাদের ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য করছে। এতেই ক্ষান্তি না-দিয়ে ২০১৭ সালে তিনি ফের সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক কথাবার্তা বলেন। সেই বছর সাক্ষী মহারাজ দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য মুসলিম সম্প্রদায়কে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন। সাক্ষী বলেছিলেন, যারা চার স্ত্রী আর ৪০ সন্তানের কথা বলে, তারাই দেশের জনসংখ্যা বাড়াচ্ছে।

Read story in English

Sakshi Maharaj