তিনিই কংগ্রেসের জি-২৩ গোষ্ঠীর একমাত্র সদস্য যিনি দলের আসন্ন সভাপতি পদের নির্বাচনে শশী থারুরকে সমর্থন করছেন। দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের ছেলে সন্দীপ দীক্ষিত। থারুরকে সমর্থন করার পিছনে সন্দীপের যুক্তিগুলি নিয়েই এখন জোর চর্চা।
তিনি বলেন, ''১০-১৫ দিন আগে যখন শুনলাম থারুর সভাপতি পদে প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াচ্ছেন, তখনই আমি তাঁর কাছে গিয়েছিলাম। আমার মনে হয়েছিল এটা ভালো হল। তখনও জানতাম না এই পদে আর কে দাঁড়িয়েছেন। থারুরের প্রতি আমার বিশ্বাসের তিন-চারটি কারণ আছে।''
সন্দীপ দিক্ষীত মনে করেন, থারুর একজন স্ব-নির্মিত মানুষ। কোনও 'পছন্দের' পরিবার থেকে তিনি উঠে আসেননি। এছাড়াও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও থারুরের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে বলে মনে করেন এই কংগ্রেস নেতা। দিল্লির এই কংগ্রেস নেতা মনে করেন, থারুর এমন একজন ব্যক্তি যিনি নিজের যোগ্যতা, মেধা, আন্তরিকতা এবং কঠোর পরিশ্রম দিয়ে নিজেকে গড়ে তুলেছেন।
আরও পড়ুন- ‘দলের তরুণ প্রজন্ম আমার সঙ্গে আছেন’, ‘প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের’ আগে আত্মবিশ্বাসী শশী থারুর
সন্দীপ বলেন, ''আমি তাঁকে মতাদর্শগত বিষয় নিয়ে কথা বলতে শুনেছি। যদিও আমি তাঁর সব কিছুর সাথে একমত নই। যেটা যে কারও ক্ষেত্রেই হতে পারে। আমার মনে হয় তিনি অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক মতাদর্শগত দিক দিয়ে কংগ্রেসের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন।''
থারুর দলের সভাপতি হলে কংগ্রেস সঠিক দিশা পাবেন বলেও মনে করেন সন্দীপ। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'তিনি বড় প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন… তাই তাঁর সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমি মনে করি, কংগ্রেসের মধ্যে কাজ না করা এবং সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা না থাকা সম্পর্কে এই বিষয়টি একটি বৈধ যুক্তি নয়। আপনার কোনও না কোনও প্রতিষ্ঠানে কাজ করার যোগ্যতা থাকতে হবে। প্রকৃতপক্ষে, কখনও কখনও আমি অনুভব করি যে একটি সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা আসলে একজনের পরিবর্তন এবং সংস্কার আনার ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয়, কারণ আপনি এতদিন ধরে যে সিস্টেমটি পরিবেশন করেছেন তার শিকার হন।''