মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক সংকটে উদ্ধব ঠাকরের পাশে দাঁড়াতেই তাঁকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তলব করেছে। পালটা সোচ্চার হয়েছেন সঞ্জয় রাউতও। তাঁর পালটা হুমকি, ওভাবে ইডিকে দিয়ে ভয় দেখানো যাবে না। দলের বিদ্রোহী বিধায়করা ইডির ভয়ে গুয়াহাটিতে গিয়ে বিজেপির কাছে আশ্রয় নিয়েছেন। এই অভিযোগ তুলে শিবসেনা মুখপাত্র সাংসদ সঞ্জয় রাউতের পালটা হুমকি, ইডি বারবার ডাকলেও তিনি গুয়াহাটির পথ নেবেন না।
এর আগেই শিবসেনা অভিযোগ করেছিল, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সিকে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক সংকট তীব্র করার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। দলের সাংসদ সঞ্জয় রাউত এই অভিযোগ করছিলেন। দলের একাংশের এই বিদ্রোহের মধ্যেও সঞ্জয় রাউত বরাবর শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের পাশেই ছিলেন। কিন্তু, এবার সেই রাউতকেই তলব করা হল। ২৮ জুন মঙ্গলবার তাঁকে ইডির কাছে হাজিরা দিতে হবে।
মুম্বইয়ের গোরেগাঁওয়ে পাত্র চাউল পুননির্মাণ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে রাউতকে তলব করেছেন ইডির তদন্তকারীরা। এমনটাই জানানো হয়েছে সেনার তরফে।এই পরিস্থিতিতে বিদ্রোহী মন্ত্রী ও বিধায়কদের বিরুদ্ধে অবস্থান আরও কঠোর করেছে শিবসেনা। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে সোমবারই তাঁর মন্ত্রিসভার চার বিদ্রোহী প্রতিমন্ত্রীর পদ হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আরও পড়ুন- মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক সংকট সুপ্রিম কোর্টে, ডেপুটি স্পিকারকে নোটিস, সঞ্জয় রাউতকে তলব ইডির
দলনেতা উদ্ধবের সেই কঠোর মনোভাব বজায় রেখেই সোমবার সঞ্জয় রাউত বলেন, 'আমাদের প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে যাতে লড়তে না-পারি, সেই ষড়যন্ত্রের মনোভাব থেকেই ইডির এই সমন। ইডি আমাকে যে সমন পাঠিয়েছে, সেখানে উল্লিখিত কোনও সংস্থার সঙ্গে আমি যুক্তই নই। মঙ্গলবার আমি ইডিতে যেতে পারব না। কারণ, আলিবাগে আমার একটি রাজনৈতিক সমাবেশ রয়েছে। সেটা আগে থেকেই ঠিক করা আছে। সেই সভায় আমি বক্তৃতাও দেব। আমাকে গ্রেফতার করার জন্য বিজেপি নির্দেশ দিয়ে থাকলে, গ্রেফতার করুক।'
রাউত আরও বলেন, 'এটা নতুন কিছু না। আমরা আগে থেকেই জানতাম এমনটা হবে। আমাদের কারও বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগানো হবে, এটা আমরা জানতাম। কারণ, ওরা আমাদের লড়াইটা আটকাতে চায়। সেই জন্য ষড়যন্ত্র করেছে। কিন্তু, এতে কোনও লাভ হবে না। আমি এই ধরনের ভুয়ো মামলায় ভয়ও পাব না। আর, সেই ভয়ে গুয়াহাটিও যাব না। ।'
Read full story in English