বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি)-র পুনরুত্থানের জন্য দলিত মুখই চাই। তাই এবার দলের দু'নম্বর আসন থেকে সরতে হল একদা দলের শীর্ষনেত্রী মায়াবতীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সতীশ মিশ্রকে। বিএসপি সূত্রে খবর, ৬৯ বছরের মিশ্রকে মায়াবতী নিজে দলের আইনি ব্যাপারগুলোর দিকেই এখন থেকে নজর দিতে বলেছেন। নির্দিষ্টভাবে আইনি বিভাগটাই দেখতে বলেছেন। মিশ্র দলের গত দুটো গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন। সম্প্রতি আজমগড় লোকসভা উপনির্বাচনে তারকা প্রচারকের তালিকাতেও সতীশ মিশ্রের নাম রাখেনি দল। আর, সেটা মায়াবতীর ইচ্ছাতেই হয়েছে বলেই বিএসপি সূত্রে খবর।
গত ফেব্রুয়ারী-মার্চে হওয়া উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে দেখা গিয়েছে বিএসপি মাত্র একটি আসন পেয়েছে। তার পর থেকে মায়াবতী এখনও পর্যন্ত লখনউয়ে দলের সমস্ত শীর্ষস্থানীয় পদাধিকারীদের নিয়ে তিনটি বৈঠক করেছেন। তার মধ্যে প্রথমটি, ২৭ মার্চের বৈঠকে সতীশ মিশ্র যোগ দিয়েছিলেন। ২৯ মে এবং ৩০ জুনের অন্য দুটি সভায় তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। কেন সতীশ মিশ্র দলের এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অনুপস্থিত, সেই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে বিএসপি নেতাদের একাংশ জানিয়েছেন, সতীশ মিশ্র অসুস্থ। সেই কারণে বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি।
আরও পড়ুন- ফের বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম, কলকাতায় সিলিন্ডার এখন ১,০৭৯ টাকা
তবে, বিএসপির এক শীর্ষ পদাধিকারী ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, 'মিশ্রজিকে সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ না-দিতে বলা হয়েছে। তাঁকে রাজনৈতিক বিষয় থেকে দূরে রাখা হয়েছে। তাঁকে শুধুমাত্র দলের আইনি বিভাগ দেখভাল করতে বলা হয়েছে।' এই ব্যাপারে সতীশ মিশ্রর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনও উত্তর দেননি।
তবে, বিএসপির ওই শীর্ষস্থানীয় নেতার বক্তব্য, 'উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে দলের বিপর্যয়ের জন্য সতীশ মিশ্রর ওপর মায়াবতী বেশ বিরক্ত। কারণ, মিশ্র কম বৈঠক করেননি। তিনি দলের হয়ে লাগাতার প্রচার চালিয়েছেন। ভোটের আগে প্রায় গোটা উত্তরপ্রদেশ সফর করেছেন। দলিতদের সঙ্গে ব্রাহ্মণদের ভ্রাতৃত্বের কথা প্রচার করেছেন। প্রায় ৫৫টি জনসভায় তিনি ভাষণ দিয়েছেন। কিন্তু, লাভের লাভ কিছুই হয়নি।'
Read full story in English