হাওয়ালা-কাণ্ডে গ্রেফতার করা হল দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন সরকারের এক মন্ত্রীকে। ধৃত মন্ত্রীর নাম সত্যেন্দ্র জৈন। আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডি সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই তদন্তের জাল গোটাচ্ছিলেন তদন্তকারীরা। সেই সূত্রেই নাম উঠে আসে সত্যেন্দ্র জৈনের। এর আগেও সত্যেন্দ্র জৈনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় কলকাতা যোগও উঠে এসেছে। সম্প্রতি, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালিয়েছিলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা।
মাত্র কয়েকদিন আগেই পঞ্জাবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিজয় সিংলাকে ঘুষ-কাণ্ডে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই ঘটনার পর সিংলাকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দিয়েছেন পঞ্জাবের আপ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। এর আগে জানুয়ারিতে সত্যেন্দ্র জৈনের বাড়িতে একাধিকবার তল্লাশই চালিয়েছিল ইডি। সেই সময় কেজরিওয়াল অভিযোগ করেছিলেন, 'সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কেন্দ্রীয় সরকার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলোকে আপ সরকারের বিরুদ্ধে কাজে লাগাচ্ছে। পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের আগেই সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেফতার করা হতে পারে।'
সোমবার জৈনের গ্রেফতারির পর কেজরিওয়াল প্রতিক্রিয়ায় জানান, 'এটা ভোটের সিজন চলছে। সেই কারণেই জৈনকে গ্রেফতার করা হল।' কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির অবশ্য দাবি, প্রায় পাঁচ কোটি টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে সত্যেন্দ্র জৈনের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্যও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা হাতে পেয়েছে।
সত্যেন্দ্র জৈন কেজরিওয়াল সরকারের অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য মন্ত্রী। স্বাস্থ্য ছাড়াও দিল্লির আপ সরকারের একাধিক দফতর তিনি সামলান। শুধু তাই নয়, দিল্লির প্রথম আপ সরকারেও মন্ত্রী ছিলেন জৈন। ২০১৭ সালে জৈনের বিরুদ্ধে আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ দায়ের করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সেই মামলাতেই জৈনের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছিল ইডি। জৈনের পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী ও এক আত্মীয়-সহ আরও চার জন এই হাওয়ালা কেলেঙ্কারিতে জড়িত বলেই ইডি সূত্রে খবর।
Read in English